প্রমত্ত নদীতে মহাসেতু
কবি মুহম্মদ রাসেল হাসান
হে মহাসেতু,
তোমার জন্মে খুশিতে হো হো করছে বুক, চৈতন্যে লেগেছে দোলা
অন্ধকার ছিড়ে মুক্তো ঝরছে নদীতে, বাংলাদেশে বইছে আনন্দের জোয়াড়।
প্রায় এক যুগ আগে এদেশে বঙ্গকন্যা তোমার স্বপ্ন প্রোথিত করেছিল।
আজ তুমি স্বপ্ন নও,
আজ তুমি কবির কবিতা, শিল্পীর গান, শিল্পের শিল্প হরেক
আজ তুমি বিশ্বের আশ্চর্য এক।
বিশ্ববাসী দেখে যান-
আজ আপনাদের দ্বিতীয় বৃহৎ প্রমত্ত নদীতে
কি অসাধারণ সেতু
কি অস্থির রূপ তার।
মেনে যান যে, আমরা কারো ধার ধারিনা আর।
জানি, এই সুযশে কিছু কিছু মুখ পাংশু হয়ে গেছে,
জ্বলে পুড়ে কেউ কেউ মূর্ছা গেছে, যাক
অদর্শনেই অজ্ঞান যারা, দর্শনে তারা...., না থাক,
আপনারাও বেঁচে থাকুন।
আমরা স্বপ্নবাজ, আমরা বাস্তববাদী।
আমারা দুর্দম হলেও মাঝে মাঝে নিমীলিত হয়ে গেলে
স্পিরিট বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য হলেও আপনাদের মতো
মহামানবদের বেঁচে থাকার প্রয়োজন আছে।
সেই অর্থে আপনারাও তো আমাদের সুরৃৎ।
যদিও আপনাদের ষড়যন্ত্রের হয়না কখনো জিত্।
পদ্মাসেতু,
বাংলাদেশের চৈতন্যে তুমি লাগিয়েছ সুখের দোলা
তোমার জন্য উৎকর্ষের আজ 'দখিন-দুয়ার খোলা'।
রচনা- রাত ১১টা ৫৬মিনিট
২৫.৬.২২
নগুয়া কুশলগাঁও, নেত্রকোণা।