আচ্ছা, মাগো তোমায় প্রশ্ন করি?
খেলার ছলে যদি ধরি,
তোমার সনে কোন দৈবাৎ
গ্রীষ্ম রোদে দেখা হঠাৎ।
তোমার কালো দীঘল চুল,
বা কুশ্রী মোটা নাকের ফুল,
অথবা তোমার মায়াবী চোখ,
কিংবা চিকন পায়ের নখ,
নয়তো তোমার কালো হাত,
সুসজ্জিত সেই ধ্রুব দাত
দেখলেই আমার লাগবে চেনা।
এই অধিকার আমার কেনা।
এত না হোক যদি ভুত ও সাজো,
তোমার গন্ধ যে ভুলিনি আজও।।
আঁচলটি তোমার ধরবো টেনে,
বল তুমি মা লুকাবে কেমনে?
কিন্তু আমি?
আমাকে কি চিনতে পারবে তুমি?
অনেকখানি হয়েছে বদল
মুখেও নেই তোমাকে আদল।
জেদ টুকুও নেই আর।
চোখের মনি নই আর সবার।
এখন আমি চোখের বালি
ধুর ছাই যত প্যাচাল খালি।
এখন তোমায় প্রশ্ন করি।
বলোনা আবার পারি না পারি?
এড়িয়ে কি যাবে আমায়?
নাকি ডাকবে অপার মায়ায়?
অশ্রু কি গড়াবে সেদিন?
তোমায় কি আর ভাববো আপন?
না!তুমি তো আপন নও
আপন হলে কি চলে আর যাও?
কয়েক মুহূর্তের সেই অনুভূতি
দেবে কি মুছে যত বিষাদ স্মৃতি?
যেদিন তুমি দিলে ধোকা
তারপরেই আমি ভীষণ একা।
ঘুমানোর ছলে চোখ জড়িয়ে।
গিয়েছো তুমি অনেক কাঁদিয়ে।
কেন তুমি কি খুব মহতি?
সান্ধ্যবেলার প্রিয় আরতি?
আমিতো তোমায় বলবো সাধী
তুমি মাগো ভীষণ অপরাধী।
দায়টুকূ তোমার দিয়ে ফেলে,
পালিয়ে তুমি গেছো যে চলে।
হ্যাঁ, কিছুটা পথ হেটেছি তারপর।
এখন আমি শূন্য আবার।
মুখে আমার কৃষ্ণ পাপের ছাপ।
তুমিও আর আমায় ডেকো না বাপ।
তোমার ছলে কিছু কথা
কাব্য ভাষায় দিলাম গাথা।
ওপার থেকে হেসো না তুমি।
পারলে ঘুমে দিও আলতো চুমি
তোমার মতো এমন নিছক।
আর কারো মা কভু না হোক।