শুনিনু সেদিন বিধি দ্যুলোক হতে নেমে
ভক্তরে মিলিতে নাকি হাটিবে গিরি পথে ।
বহুপথ, বহুক্রোশ জানিয়া
তবুও নিজেরে না করে কৃপা,
বিধিরে মিলিবার আদিম আশে
বাড়ানু ভীরু পা।
পথিমধ্যে চলিবার কালে
দেখিনু এক নিরিহ গাধা,
তৃন খাইবার লোভে আসিয়া
জালে পড়েছে বাধা।
ফাঁস লেগে তার নাল ঝড়ছে
প্রান প্রায় যায় যায়
সসব্যস্ত জালে টান লাগানু
হাত কেটে পড়ে প্রায়।
লাফিয়ে গাধা ভাগিলো, গলা পাইয়া ছাড়া।
রক্ত চেপে পথ ধরিলাম বিধিরে মিলিবার তাড়া।
পক্ষী শাবক মুখ থুবড়ে পথে করিছে চি চি।
রক্ত হস্তে তুলিনু তারে যদি যায় প্রান বাচি।
কন্টক বৃক্ষ বাহিয়া তারে বাসায় করিনু পার।
বক্ষ ছিড়ে দেহখানা মোর রক্তে একাকার।
আরও কিছু পর একলা বৃদ্ধ হাতে করিয়া ভর
লাঠি ভাঙিয়া নির্জন পথে কাপিতেছে থর থর।
বৃদ্ধের ভার একহাতে নিয়ে, ধরিলাম তার কাধ।
কহিলাম দ্রুত পথ বলো মোর বিধিরে মিলিবার সাধ।
এমন করিয়া সারাটা পথ যত ছিলো অঘটা
সমাধা করিয়া ফিরিতে মোর বেলা পড়িলো ভাটা।
পাহাড়ি চুড়ায় চোখ পড়িতেই দেখিনু আলোর রেখা,
ঐ বুঝি বিধি ডাকিছে মোরে, বুক করিলো খা খা।
পাহাড় ভেদিয়া চুড়ায় যখন, সুর্যে সন্ধ্যার ছায়া
বিধিরে আদলে দর্পন সেথা, দেখিনু আপন কায়া।
দুঃখী মনে নত হয়ে হয়ে ধসিনু যখনি, তখনি কহিলো রব,
বৃথায় খুজো বিধিরে বাছা,প্রেম বিধির অবয়ব।