বৈশাখের দিন
এম এ রহমান

বৈশাখের ওই ভোরের বেলা
বাঙ্গালী মন দিচ্ছে দোলা
পান্তা ভাত আর ইলিশ ঘ্রান
শুটকি শাকে মাতে প্রান।

আজ পহেলা বৈশাখের দিন
সাজে বাংলা বাজেরে বীণ
বটের তলায় বসছে মেলা
খেলনা,খাবার হরেক খেলা।

মঙ্গলশোভা যাত্রা করে
বৈশাখের-ই পোষাক পড়ে
যাচ্ছে মেলা ঘুরছে সবাই
আনন্দতে দিনটা কাটাই।


বৈশাখ এলো
এম এ রহমান

বৈশাখ এলো বাংলার বুকে
একটি বছর পরে
দুঃখ-ব্যথা, আঁধার কেটে
সূর্য হাসুক ভোরে।

বৈশাখ এলো সোনার বাংলায়
ধানের শীষে মিশে
আম-জাম,কাঠাল হরেক ফলে
গাছের ডালে হাসে।

বৈশাখ এলো পান্তা-ইলিশ
শুটকি-শাকের ঘ্রাণে
পুরনো দিন মুছে ফেলে
নতুনের গান প্রাণে।

বৈশাখ এলো মঙ্গলযাত্রায়
অমঙ্গল দূর করে
আগামীর দিন উঠবে হেসে
প্রার্থনা মন ঘরে।


কালবৈশাখী
এম এ রহমান

ঘনকালো মেঘের পাখি
হঠাৎ উড়ে এসে
ঝড়ো হাওয়া সঙ্গে নিয়ে
তান্ডব চালায় ত্রাসে।

বৈশাখ দিনের আলোগুলো
হঠাৎ নিভে ঝড়ে
গাছ ভাঙ্গে যে মরাৎ মুরুৎ
টিনের চাল যায় উড়ে।

এমন দিনে বুকের ভিতর
করে দুরুদুরু
বৈশাখী ঝড় এলে পড়ে
সর্বনাশের শুরু।

কালবৈশাখী ধরার বুকে
ছোবল মারে খুবে
মাঝে মাঝে মানুষগুলো
ক্ষতিতে যায় ডুবে।


এলো বৈশাখ
এম এ রহমান

জীর্ণতাকে দুরে ঠেলে আবার এলো বৈশাখ
বাংলার হৃদে খুশির জোয়ার বইছেরে তোরা দ্যাখ
পান্তা,ইলিশ,শুটকি,শাকে বোশেখ খোলেরে চোখ
কচি কচি সবুজ ফলে করছে সবাই পরোখ।

ঘরে ঘরে চলছে উৎসব এলো বৈশাখ গানে
সংস্কৃতি জেগে উঠে সকল বাংলার প্রাণে
ঝড়ো হাওয়া দিচ্ছে দোলা শুষ্ক চৈত্রের বুকে
কচি কচি সবুজের দল ভিজছে মহাসুখে।

বনিক ভাইরা হিসাব চুকে হালখাতাতে মাতে
নতুন সালের পঞ্জিকা খুলে বোশেখের প্রাতে
অমঙ্গল সব দুর করিতে মঙ্গল শোভাযাত্রা
বাঙ্গালি সব দুঃখ ভুলে করে অগ্রযাত্রা।

আম কুঁড়াতে যাই
এম এ রহমান

ঝড় এসেছে ঝড় এসেছে
চলো সবাই যাই
ঝড়ের দোলায় আম পড়েছে
আম কুঁড়াতে যাই।

খোকা খুকির ঝড় এলে যে
দেখি হাসি মুখ
ঝড়ের দিনে আম কুঁড়াতে
মনে লাগে সুখ।

বোশেখ মাসের ঝড়ো হওয়ার
কচিকাঁচা আম
নুন-মরিচে খেতে রে ভাই
স্বাদে বিধিবাম।

দাদার বাড়ি নানার বাড়ি
খোকা খুকি যায়
জৈষ্ঠ্যমাসে আম যে পাকে
মজা করে খায়।

এম এ রহমান
হাতিয়া,উলিপুর,কুড়িগ্রাম