জানি! প্রচ্ছেদের অপর প্রান্তে........
তোমাদের কারো কারো থাকবে বিপরীত অবস্থান,
জানি! শুনে নিন্দুকেরা হাসবে, গুনীরা করবে সমালোচনা
রক্ষণশীল সমাজপতিরা করবে প্রস্থান ।
জানি, এটা তোমাদের নিজ হাতে গড়া সমাজ....
সহসায় এখানে তাই তোমাদের কথায় চলে,
দেওয়ালের আড়ালে মুখ চেপে ধরে কাঁদা জীবটি
তাই দেখো না ইশারায় কি কথা বলে ।
জানি, এখনো তোমরা স্বগর্ব বোধ চিত্তে হাসছো !!
এখনো তোমাদের সুনন্দিত বোধটুকু রসিকতার জলে ভরা,
জানি! ঘুমিয়ে থাকা বিবেক তোমাদের
কোন শক্ততর পাথরের আদলে গড়া ।
জানি, আমি বেশ ভাল করেই জানি !!!
.....তবুও মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে
যখন দেখি সাদা চামরার মেয়ে মানুষগুলোর প্রতি,
তোমাদের সমাজের তরুণরা নেশায় মগ্ন, -অচেতন ধ্যানে'
মৌমাছির মতো সাধনায়রত ওরা মধুটুকু আহরণে!!!
তখন কোন এক গায়েলী................,
কালো, কুৎচিত মেয়েকে হৃদয় উজাড় করে বলতে ইচ্ছে হয়....
"আমি তোমায় ভালবাসি"
অথবা যখন তোমাদের সমাজকর্তারা.....
হীন কাপুরুষের মতো নংরা দৃষ্টি পেলে,
কোন নিরহ যুবতীর দিকে......
ভয়াল থাবায় কেড়ে নেয় যখন কোন স্বপ্ন প্রেয়সীর বহু যতনে দেখা একটুকরো স্বপ্ন,
যখন কেড়ে নেয় কোন সাহায্য প্রত্যাশী তরুনীর জীবনের বাকিটা পথ,
কারো নিচুক বিলাসেই যখন কাউকে বানিয়ে দেয়া হয়
....... তোমাদের নংরা গলির বেশ্যা,
পতিতা বলে যখন তিরস্কার করে তোমাদের সমাজ !!!
তখন বেশ ইচ্ছে করে আমার........
সেই অবলা আত্মাকে নিয়ে যাই তোমাদের নংরা সমাজ থেকে বহুদুরে.....
নব স্বপ্নের পেয়ালায়, -নিয়ে খানিকটুকু ভালবাসা
দুইজনে ভাগাভাগি করে খাই ।।
অবলার পায়ে আটকে থাকা তোমাদের অত্যাচারী কাটা গুলো,
ফেলে দিয়ে লাগিয়ে দিয় যাতনা নাশক আদর।
আর ক্ষতের চিহৃ গুলো মুচিয়ে দিয়ে বলি......
"তুমি আমাদের সমাজেরই একজন ।।।"