এমন একটা বৃষ্টি ভেজা সন্ধায়
অতিথির বেশে আমরা কয়েকজন....,
নিরালা নির্জন রাত্রীর মুহুর্তগুলো
আজও যেন শেষ রাতের স্বপন ।
গুটিয়ে মনের সমস্ত কথাগুলো....
যখন বসে আছি উদাসীন দৃষ্টিতে চেয়ে,
আর মাঝে মাঝে ভাবছি কেন আসা হল ?...
তখনো ভাবিনী কেউ বলবে এসে আমায়
....তোমার মনের দরজা খুল ।
যারা বয়সের মাপকাঠিতে বড়
তারা মেতে আছে নানা প্রাসঙ্গিক বিষয়ে,
আর আমি অবুঝ শ্রোতার মতো
শ্রবণ করছিলাম শীতল পাটিতে শুয়ে ।
অতিথি পরমপরায় সনাতন রীতিতে
যখন কুলা নিয়ে এলো মাথায় ঠেকাবে বলে,
তখনো আমি আস্তিক বেসে
নিজেকে লুকাতে চেয়েছি নাস্তিক ছলে ।
....তারপরেই আমবশ্যার রাতে একটুকরো চাঁদ
হঠাৎ হয়েছে উদয়,
স্বপীল সাজে রাঙ্গানো সেই চাঁদনী
যেন রঙ্গিন করেছে হৃদয় ।
এরপর যতটা সময়, যতটা কথা....
পরস্পর দুজনার মাঝে হয়েছে বিনিময়,
সব গুলো আজও স্মৃতি হয়ে ভাসে
আর মুহুর্তকে করে মধুময় ।
ক্ষণে ক্ষণে কখন আপন মনে
তার হাত দিয়েছে বাড়িয়ে,
বিন্দু থেকে বিশাল হয়ে আবার
সৌরভ দিয়েছে ছড়িয়ে.....
হীরকতূল্য চাঁদ, - তার একবিন্দু হাসি,
এমন হাসির মানুষটিকেই শুধু বলা যায় ভালবাসি ।
সে আমার আকাশে তখন একটুকরো চাঁদ
যার জোস্নায় ঝরেছে বৃষ্টি,
অতঃপর সেই অতিথিশালায়
হয়েছে দুজনার শুভদৃষ্টি ।।