সাজানো-গুছোনো বাগান ;
যে ফুলগাছ, যে লতা, যেখানে যেমনটি মানায়, ঠিক তাই আছে ।
তোমার পছন্দ মতো করে তোলার জন্যই যে যত আয়োজন...
বাগানবাসী পাখিরাও সুশিক্ষিত ;
গ্রীষ্মে বৃন্দানবী সারং,
বর্ষায় গৌড়-মল্লার তো বসন্তে ললিত-পঞ্চম ।
মেধাবী শিষ্টাচারী তৃণগুচ্ছ,
অকারণ শ্যাম বাড়াবাড়ি বা নাবিকনীল উচ্ছ্বাস নেই ;
বেড়াতেও জড়িয়ে আছে রাধামাধবমঞ্জরি
পথরেখা এঁকেছে বঞ্জুল অঞ্জলিকারিকা ও কনককাঞ্চনকারিণী ।
তুমি এলে ।
অতি সহজ, সাধারণ ।
অল্পেই সন্তুষ্ট বলে এত পারিপাট্য যেন পছন্দ হল না ।
ফিরে গেলে ।
দৃষ্টিতে না ফিরে আসার বর্ণমালা ;
ক্ষোভে হতাশায় ঝড়কে ডাকলাম, “সব ভেঙে তছনছ করে দে ।“
হা হা হা হা করে হেসে উঠে নতুন বস্তি উদ্বোধনে গেল ঝড় ।
আগুনকে বললাম, “ জ্বালা...
জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার কর সব।“
আগুন বলল, “ উহুঁ সে আমি পারব না, এখানে যে পা পড়েছে তাঁর !
বরং চাইলে তোমার বুকে থাকতে পারি ;
রক্তধারায় ভাসাতেও পারি নৌকো-বোঝাই সূর্য-তারার শব ।“