ওঁ হ্রীং ফট ফটায়ে ফট কট কটায়ে কটং
মড়ার কাঁথা ন্যাড়া মাথা শত ছিন্ন চটং ।।
গুহ্য কালী ভুসো কালি,চামুণ্ডা নৃমুণ্ডমালী
কাঠাকালি, ল্যাঙড়া মালী, সুড়ঙ্গ চোরাবালি ।।
মহামাংস জম্বুবংশ সুযোগমাত্র ভোজনম
কৃষ্ণমুখ দাস্যসুখে মা পশ্যতি স্বজনম ।।
কঙ্কাবতী উষ্ণ-অঙ্ক কঙ্ক-চঞ্চু কিম বঞ্চিতম
ঘট্ট অবঘট্ট পটং ব্রুয়াং অজ্ঞানধন সঞ্চিতম ।।
পত্নী প্রেত্নীব পতিং ক্রুং হুং ক্রীং ফটাসং
ফটঞ্চ ফট ফটাঞ্চং হৃং ছুছুন্দরী খটাসং ।
ঘ্রীদ্বিরেফ রেবঞং প্রুঙ্ক মনঞ্চং ক্রদ্রাঞ্চং
বীক্রঞ্চ জ্বন্রং হুং ব্রহ্মক্রুয়েন ট্টসনঞ্চং ।।
দৃশ্যমান হওয়ার মন্ত্র ঃ
জম্রং ক্রম্ব্ং বম্বক্রুয়েনঞ্জজ্ঞ নঙদ্রিং বঙ্যাং তীম্রং
ঘ্রূধফারেবঞ্জ কপেজ্ঞড়্বান যদৃং দাংগ্রস্রং বীক্রং ।
লৃরুংকাভৃহ্রাত্থঃয যম্বন্বঞ্চ কৃগ্রসীঞ্জত্তচ্চাতৃপ্তবীত্রট্টং
যম্বদ্যগজ্ঞ কাদ্রীসাচুর্ত গ্রুং মগ্নীয়াড্রপ্তী হত্তীক্রং ।।
পাঠক বৃন্দ/পাঠিকাবৃন্দা,(ললিতা, বিশাখা, চন্দ্রাবলী)
জানিয়ে দিই, এই মন্ত্র আমার রচনা নয় । ৩১৫৩ বছর আগে আমার ১২৬তম পূর্ব-পুরুষ স্বামী শ্রীরঞ্জি অখণ্ডমণ্ডলোপোগণ্ডানন্দ এই মন্ত্র আবিষ্কার করেন । বংশানুক্রমে আমরা এই মন্ত্র-ধারা বহন করে চলেছি । অদৃশ্য হওয়ার এই গূঢ মন্ত্রটি এই প্রথমবার সাধারণের মধ্যে প্রকাশ করা হল ।
আমাদের ওই পূর্ব-পুরুষ বলে গিয়েছিলেন, কোনও একজন বা দু’চার জনের কাছে যেন এই মন্ত্র-রহস্য ফাঁস করা না হয় । যেদিন সারা পৃথিবীর সমস্ত মানুষকে একসঙ্গে এই মন্ত্র দেবার উপায় আবিষ্কৃত হবে সেই দিন বলা যেতে পারে । আমার পূর্ব-পুরুষদের আন্তরিক ইচ্ছে থাকলেও মন্ত্রটি দিয়ে যেতে পারেননি । এই অধম অন্তর্জালের সুযোগ পাওয়ায় জন-স্বার্থে মন্ত্রটি প্রচার করল ।
অদৃশ্য হওয়ার জন্য যেমন এই মন্ত্রটি অপরিহার্য তেমনই আরো অতি সহজ ১০টি ধাপ বা শর্ত পালন করতে হয় । সেই সহজ শর্তগুলি বলে দিই :
১) প্রথমে ১০১১০৮ বার নির্ভুল উচ্চারণে মন্ত্রটি ফাঁকা মাঠে উদাত্ত গলায় আবৃত্তি করতে হবে । কোথাও ভুল হলে প্রথম থেকে আবৃত্তি অবশ্য-কর্তব্য ।
২) বাদামী তিক্তালাবু, রক্তদেবমালিনী, মহাশ্বেত ব্রহ্মবিল্ব, কৃষ্ণাহরিৎ পটোল, প্রেত চম্পালু, পাতাল টেউড়, গুঢ জম্বুরা, রাখালশশা, কটুরোহিণী, যমকোষাতকী, দেবনিম্ব ও মেঘলাঞ্ছনী –এই ১২টি গাছের বীজ সমপরিমাণ মিশিয়ে পূর্বাস্য হয়ে পশ্চিম দিকে দু’টি পা ঘাড়ে তুলে চূর্ণ করে নিতে হবে ।
৩) ওই চূর্ণ বীজের সঙ্গে তিন রতি পরিমাণ কঙ্ক পক্ষীমল, ১০৮ দিন বয়সী কস্তূরী মৃগের তিন রতি পরিমাণ মূত্র, একটি নারী ভোঁদড়ের নাশা-রন্ধ্রের তিন রতি পরিমাণ ঘাম মিশিয়ে একুশ বার পূর্ণ গ্রাস সূর্যের আলোয় রেখে শুকিয়ে নিতে হবে ।
৪) পরের স্তর হল ইন্দ্রশাল ও ব্রহ্মশাল কাঠের ঘানিতে তৈল নিষ্কাশন । নিষ্কাশিত তেলের নাম অবমৃষ্ট তৈল ।
৫) এবার রাম বিছুটি, সীতাকর্ণিকা, শিবদ্রুম, ব্রহ্মলাঙ্গল, দুর্গাচিরাঞ্জি গাছের মূল, বাকল, পাতা, ফুল সম পরিমাণে মিশিয়ে কাত্থ তৈরি করে বজ্রাঘাতে মৃত ১১১ বছরের এক বৃহন্নলার চিতাভস্মের সঙ্গে মিশ্রিত করা একান্ত কর্তব্য ।
৬) আবার ওই মিশ্রণ থেকে ইন্দ্রশাল ও ব্রহ্মশাল কাঠের ঘানিতে তৈল নিষ্কাশন । এই তেলের নাম অপান্ধনী তৈল ।
৭) এবার চোখ বন্ধ করে ভূতচতুর্দশী অমাবস্যার রাত সমপরিমাণ অবমৃষ্ট তৈল ও অপান্ধনী তৈলর মিশ্রণ ।
এতটুকু কম বা বেশি হলে ভয়ংকর সর্বনাশ হয়ে যেতে পারে । অতি সাধানতা অবলম্বন আবশ্যক । ওই মিশ্রিত তেলের নাম প্রাগাপ্রেরণ তৈল ।
৮) এক পোয়া অবমৃষ্ট তেল বাম কানে, এক পোয়া অপান্ধনী তেল ডান কানে ঢেলে, প্রাগাপ্রেরণ তেল নাকে শুঁকে ১০৮ বার হাঁচতে হবে ।
৯) কালো ডহন-নাগরা চাল শ্মশান চুল্লীতে ফুটিয়ে ভাত রান্না করে কপাল-কটকী ও নিম্ব-ঘণ্টী ফল উক্ত তেলে ভেজে পেট ভরে খেতে হবে ।
১০) খাওয়ার পর কেশ বিমোচন । নিজের হাতে শরীরের প্রত্যেকটি কেশ সযত্নে তুলে ফেলতে হবে । তারপর ওই মন্ত্র স্নান-পর্ব । জলে ডুব দেবার আগে, জলে ডুবে ও দুব ভিয়ে উঠে উক্ত মন্ত্র নির্ভুল উচ্চারণে ১০৮বার আবৃত্তি করতে হবে ।
১১) এই প্রক্রিয়া শেষ হলে ওই অবমৃষ্ট তৈল, অপান্ধনী তৈল ও প্রাগাপ্রেরণ তৈল সমপরিমাণে মিশিয়ে গায়ে মাখলেই অদৃশ্য হওয়া যাবে ।
দৃশ্যমান হওয়ার মন্ত্রও বলে দেওয়া আছে ।