দিনের বেলায় আমাকে ডেকেছ আলো
রাতের বেলা ডেকেছ তমসা বলে,
ঝড়ের মেঘে কী নামে ডাকবে বলো ?
কী নামে ডাকবে শ্রাবণের ধারাজলে ?
স্রোতের মুখে ভাসিয়ে দিয়েছ আমায়,
বাতাসে লিখেছ ভাসান-বর্ণমালা,
পাঠ করব কী ! পুলকে মূর্চ্ছা যাই,
মূর্চ্ছার রঙে তোমার সুগন্ধ ঢালা...
আমাকে ভেঙেছ সামাজিক রীতি মেনে,
পাথর-জন্মে আঘাতের তলে তলে
সাহস কী দেখাও দুর্বলতা জেনে ?
কী খোঁজ বলো না ভেঙে ফেলবার ছলে ?
আমাকে দেখালে তোমার কত কী আছে
পরিখায় ঘেরা সে রতন–ভাণ্ডার...
ওপারে ঝুঁকেছে যে শাখা তেমন গাছে,
সকালে চড়েছি ছায়া নামে সন্ধ্যার ।
আলো মুছে গেল ওপারে জ্বলছে মায়া,
কী হয় না হয় সে বোধ লুপ্ত হয়,-
এ পারে যে ছায়া ও পারেও সেই ছায়া,
ঝাঁপিয়ে পড়েছি বাঁচবার কথা নয়
পরিখা গভীর পরিখা, নামছি নীচে,
পালকে লাগছে বাতাসের অনুরাগ
তমস্বিনী-ধারা বর্ষণে যাই ভিজে
মন্ত্র শোনালে লাগ ভেল্কি লাগ...।
পতনে কী সুখ বুঝেছি, পতন শীল ;
গায়ে কাঁটা দিল, প্রথম মরণ বলে
যন্ত্রনা এখানে সুরভিত ঘন নীল ...
দুটি পা পাথর রক্তপ ওঠে জ্বলে
তোমার কী নাম বলে না গাছের শাখা ;
শুধু ঝিকিমিকি সহাস্য সারাদিন...
জেনেছি এখন কী কী নামে যায় ডাকা
কেন ডাকব ? তোমাকে হে অন্তহীন ?