সারাটা বেলা শরৎ আকাশ
বাজিয়ে ঢোল বর্ষা আনে,
সৌদামিনীর সৌন্দর্য্য হেরি
বসে বাড়ির মাঝ উঠোনে।

দোদুল দোলে দোপাটিটা
সবুজ এখন সরূপ তার,
ঝিম ঝিমিয়ে ঝরছে বাদল
পুলক জাগে পারমিতার।

সারস পাখির সর্দি জমে
সারাদিন স্নান করে জলে,
শিব ঠাকুরের ষাঁড় গুলোসব
খাচ্ছে ধান ক্ষেতের তলে।

আমন শস্য আপন মনে
আমোদ করে সংগোপনে,
গোকুলে আজ সে গর্ভবতী
সাধ খায় চাষার স্বাগত স্নানে।

কাঠঠোকরা কাঁচ জানালায়
ঠোঁট দিয়ে ঠায় ঠোক্কর মারে,
বর্ষার জলে সে ভেজার ভয়ে
ঢুকতে ঘরে কাঁচে ঢি ঢি করে।

দীপাবলীর দীপ জ্বলুক ঘরে
বর্ষার বাদ্যি যাক দূরে সরে,
আলোয় আলোয় ভরুক আকাশ
অন্ধের অন্ধকার যাক চিরতরে।
              ---------- রঞ্জন গিরি।