পাথর ও পান্থপাদপ
রণজিৎ মাইতি
---------------------
আমি পান্থপাদপ ভীষণ ভালোবাসি,
চারপাশে বহুদূর বিস্তৃত এই যে মহাজলরাশি জুড়ে চিরন্তন কলকল ধ্বনি,
সেই শব্দ শোনা যায় পান্থপাদপে।
আশপাশ ঘিরে এই যে চোরাগোপ্তা অনন্ত ফল্গু,
সেই ফল্গুধারা শুনি পান্থপাদপে।
আমি পান্থপাদপ ভীষণ ভালোবাসি,
কিন্তু পাথর মোটেই ভালোবাসি না।
পড়শী মেয়েটি যখন কোলের শিশুর মুখে অন্ন তুলে দিতে না পেরে--
একান্তে কাঁদে চিরহরিৎ পাতার মতো,
তখনও পাথর কাঁদে না !
বৃদ্ধ বাবা-মায়ের চিকিৎসার বহুল ব্যয়ভার বহন করতে না পেরে--
অক্ষম ছেলেটি যখন নিভৃতে অশ্রু ঝরায়,
পাথর তখনও নির্বাক!
কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা যখন সোমত্ত মেয়েটির বিয়ে দিতে না পেরে--
বেছে নেয় আত্মহত্যার পথ,
পাথর তখনও অভাগা পিতার পিঠে রাখেনা শান্তনার হাত!
যদিও এই পৃথিবীতে রাশি রাশি পাথর পাওয়া যায়,পান্থপাদপ সংখ্যায় নগন্য।
ভালোবাসার মানুষ চিরকালই অতীব বিরল।