লুকোচুরি খেলা
রণজিৎ মাইতি
---------------------
মাঝে মাঝে আমার ও চাঁদের দূরত্ব লক্ষ্যণীয়ভাবে কমে যায়,
আবার কখনও কখনও সেই দূরত্ব এতোটাই বেড়ে যায়
চলে যায় দৃষ্টিসীমার বাইরে।
এই প্রসঙ্গে মনে পড়ে বন্দনাদিকে
তিনি যখন ঠাকুর ঘরে রাধামাধবের পুজো করতেন
মনে হতো গোপালকে নিজ হাতেই খাওয়াচ্ছেন
আপন মনে এইসব করতে করতে --
কখনও মনে মনে হাসছেন,কখনও কাঁদছেন অঝোরে!
না থাকতে পেরে একদিন বন্দনাদিকে প্রশ্নটি করেছিলাম,--
'আচ্ছা দিদি,তুমি কাঁদো কেনো!'
ধ্যানস্থ বন্দনাদি কুলদেবতার পায়ে ফুল,বেলপাতা ও জল দিতে দিতে বলেছিলো--
'এইসব তুই ঠিকঠাক বুঝবি না রে।'
অন্তর্লীন হলে মানুষ দেখতে পায় তার সুখ-দুঃখ,হাসি-কান্না সব।
আমি বন্দনাদির কথার সুধাপাত্র থেকে তুলে নিই এক বাটি দুষ্প্রাপ্য অমৃত
মনে মনে বলি,--
তুমি মানুষটাই তো চাঁদ,তুমি মানুষটাই ধ্রুবতারা
আস্ত তুমি মানুষটাই আসলে তিনি,
মা শুচ,মা শুচ ভব।
হয়তো এভাবেই আমার ও চাঁদের দূরত্ব হ্রাস-বৃদ্ধি হয়,
কিংবা কলা ক্ষয়,লুকোচুরি খেলা চলে তোমাতে-আমাতে।