যাত্রী কাকে বলে? সহজ সরল উত্তর যিনি যাত্রা করেন তিনিই যাত্রী ।এখান থেকে নানান প্রশ্ন উঠে আসে,কোথায় যাত্রা ?কেন যাত্রা? আসলে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এই যে দীর্ঘ জীবন পরিক্রমন এটাই হলো আসল যাত্রা ।
কোন পথই কন্টক মুক্ত নয়।যেহেতু জীবনপথ দীর্ঘ এবং তার ব্যক্তিও বিশাল।তাই আমরা সুখের সন্ধানে অনেক সময় দাদার বিশ্বস্ত হাত ধরি।কারণ স্বরূপ কবি নিজেই দিলেন তার উত্তর । সে কারণ হলো, "দাদার হাতে মস্ত পাওয়ার"।এই পাওয়ারই আমাদের যাত্রার অভিমুখ ঠিক করে দেয় । আর আমরা ছাপোষা সাধারণ মানুষ এতোটাই দুর্বল আমাদের "সাধ্য কি তার বাইরে যাওয়ার"
এই যে চিত্রনাট্য কবি আমাদের চোখের সামনে তুলে ধরলেন এটাই হলো বর্তমান সমাজ ও সময়ের বাস্তব চিত্রনাট্য।ব্যঙ্গে কবি বলতে চেয়েছেন এখন সমাজ পাওয়ার অর্থাত্ ক্ষমতার দাসত্ব করতে ভালোবাসে।এটাই 'চলতি হাওয়া' ।
আর চলতি হাওয়ার যারাই লেজুড়বৃত্তি করবে তারাই আরামে,সুখে শান্তিতে বাঁচতে পারবে।অন্যথা হলেই নেমে আসবে ক্ষমতার নিষ্ঠুর বজ্রমুষ্ঠি মাথার উপর ।
ছোট্ট কবিতা ।মাত্র পাঁচ লাইন ।কিন্তু এই পাঁচ লাইনেই কবি যেভাবে সমাজ বিক্ষণ তুলে ধরলেন তা নিঃসেন্দহে প্রশংসার যোগ্য।যেহেতু কবিতার শরীর জুড়ে সমাজদর্শন ও হীনবল ছাপোষা মানুষের জীবন যাত্রা মেলে ধরেছেন ।সুতরাং নামকরণটিও যথাযথ এবং সার্থক ।
এমন একটি সুন্দর কবিতা উপহার দেওয়ার জন্যে প্রিয় কবিকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাই ।