প্রিয় কবি মোঃ জুলফিকার আলী অজানা কে জানতে,অচেনা কে চিনতে গিয়ে অবাক হলেন । আপাত জড় মনে হলেও তাঁর অন্তর্ভেদী দৃষ্টিতে ধরা পড়লো "পাথরের প্রাণ"।
স্বতঃই পাথরের প্রাণ বা জীবন যাই বলি না কেন প্রাণ তার ধর্ম মেনে চলে। সেটাই বিস্ময়ের কারণ । পাথর হাসে,কাঁদে । পৃথিবীর স্তন পিরামিড পাথুরে পাহাড়ের বুকে জন্ম নেয় নানান গাছ গাছালি।সবুজের সমারোহে ঝলমল করে পাথুরে মাটি। পাখি এসে ভরিয়ে দেয় কলকাকলিতে। এটুকুই কি পাথরের গল্প?
না,কবি অবাক হন। দেখেন কুলকুল শব্দে বয়ে যায় পাহাড়ি ঝর্ণা । হৃদয়ের মাটিও যেখানে পাথরসম মনে হয় আসলে সেখানেও প্রস্রবন আছে।তার গতিপথ জীবন মোহনার দিকে।পাথুরে হৃদয় জমিনে লুকিয়ে থাকা তপ্ত আগুনে পুড়তে পুড়তে চিত্ত হয় তপ্ত কাঞ্চন । শীতল হয় ঝর্ণার জলে।
আসলে কবি "পাথরের গল্প" বলতে গিয়ে অল্প কথায় রূপকে জীবনের গল্পই করেছেন । আপাত কঠিন হৃদয় জমিনে তিনি নানান বৈচিত্র্যের সমাবেশ দেখতে পান। বয়ে যায় অন্তসলীলা ফল্গু । যেখানে জল পান করতে আসা চপলা হরিণীরা দেখে মানুষের কঙ্কাল ।
এখানে বলে রাখি চপলা হরিণী আর কেউ নয়,কবি নিজেই।তিনি নৃতাত্ত্বিক পর্যবেক্ষণে দেখলেন কঙ্কালের খুঁটিনাটি নানান বৈচিত্র্য । দেহ ও মন দুটি স্বত্বার অধিকারী মানুষের ভেতরেই থাকে পাথরের গল্প কথা।
সুন্দর নামকরণ । যথাযথ শব্দ প্রয়োগ ও অলঙ্কারের কৌশলী ব্যবহারে কবিতাটি চমত্কার লালিত্যে ভরিয়ে তুলেছেন ।আপনি কি "এপার-ওপার" বলতে চেয়েছেন কবিবর ?
সুন্দর ও সুখপাঠ্য কবিতা উপহার দেওয়ার জন্যে প্রিয় কবিকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাই । শুভ দীপাবলি ।