অমৃত
রণজিৎ মাইতি
-------------
জানি না অমৃত কাকে বলে,কি বস্তু সেটা!
আমার মা অমৃতিকে অমৃত জ্ঞানে খেতেন,
বাবা রসগোল্লা।
তাই দেখে ধারণা হয়ে যায় মিষ্টান্ন যা কিছু সবই অমৃত।
কিন্তু যেদিন আমার রক্তে ধরা পড়লো মাত্রাতিরিক্ত চিনি
হাউস ফিজিসিয়ান বললেন এতোদিন বিষ খেয়েছেন
এবার সেদ্ধ করলা ও সক্কাল সক্কাল কালমেঘ জল খান।
আমার মেয়েটি আবার পোস্ত চাটনির ভক্ত। যেভাবে চেটেপুটে খায়
দেখে মনে হবে অমৃত খাচ্ছে।
অথচ ক্ষুধা তাড়িত আমি বিরিয়ানি নয়,
ডাল-আলুসেদ্ধ পেলেই ধন্য
অথচ ভরা পেটে পোলাও কোর্মায়ও অরুচি।
তাই জানি না কোনটা প্রকৃত অমৃত;
যদি সমুদ্রমন্থন কালে দাঁড়াতে পারতাম দেবাসুরের পেছনে।
তবে আমার নবজাতক ভাইপো কাঁদলে দাদু বলতেন
নাতবৌ হাতের কাজ ফেলে বাচ্চাটিকে আগে অমৃত দাও
আর আমরা উদ্বেগে কাটালে বলতেন কথামৃত পাঠ করো।
দাদুর পরামর্শে কথামৃত পাঠ না করলেও
বহুবার কথামৃত শুনতে গেছি ব্রিগেড ময়দানে
কিন্তু দিনশেষে ফিরেছি গরল বুকে নিয়ে।
না,কোথাও পাইনি অমৃতের সন্ধান
জানি না অমৃত কাকে বলে,কি বস্তু সেটা।।