বাঁশের খুঁটি,ঘোগলাপাতার বেড়ায় আমার ঘর।
মাটির হাড়ি মাটির কলস, ছোট্ট নদীর চর।
ছনের ছাউনি কুঁড়ে ঘরে, আমার বসবাস।
সকাল সকাল মাঠে যাওয়া প্রতিদিনের অভ্যাস।
সূর্যের আলোয় ঝড়া ঘাম, সঙ্গে পাখির ডাক।
রোদ্রে পোড়া শরীর, পেশিতে পেশিতে পাক।
মাঠেঘাটে ফসল ফলাই হুকাহুয়াক।
সবাই বলে দামাল ছেলে, বাংলার কৃষক।
মাটি কাটি, ধান মাড়াই, সন্ধ্যায় হাটখোলা।
ধনিগরীব বিভেদ নাই, সবাই ছিলো মনভোলা।
আজকে আমি অট্টালিকায়, এ্যায়ারকন্ডিশন রুম।
সুন্দরী যুবতীরা ব্যাস্ত সেবায়, যত্নে পড়ায় ঘুম।
ঘন্টায় ঘন্টায় খবর রাখে, অপরুপ বাকবাকুম।
দেখলে পরে ভিতরটা নাচে ঝুম ঝুমা ঝুম।
বৌয়ের চেয়ে দেখতে ভালো, শুধু আমি দেখে যাই।
আমার সেবা ওরা করে, বৌয়ের কোন উপায় নাই।
বৌ কান্দে, বাচ্চা কান্দে, পাশে কান্দে বুড়া মা।
ভাঙ্গা চালা মাটির থালা, সবাই আমায় কর ক্ষমা।
বড় দালান যত্নের সেবা, কিছুই ভালো লাগে না।
ক্যান্সার আমার জিবনসঙ্গি আর বাঁচাতে পারবেনা।