এখনো ঠোঁটে নোনতা স্বাদ লেগে
বুক ভরা দুরন্ত ঢেউ, পায়ে পায়ে তুচ্ছ কৃচ্ছ সাধনের বালি।
সমুদ্র, হে সমুদ্র তোমার থেকে আমি এক মহাপ্লাবণ দূরত্বে দাঁড়িয়ে আছি।
নুহের নৌকায় আমার ঠাঁই ছিল না।
তবু মৃত্যু হয়নি আমার।
ঢেউয়ের পরে ঢেউ এসে যেন নোনা বালি চড়ে আছড়ে পরে।
সে আমার অনুষঙ্গ ছিল। প্রাত্যহিক অনুষঙ্গ।
আমাকে নোনা জল ডাকছিল আয় আয়..
যেন জন্মান্তরের নাভী মুল থেকে উঠে আসা অমোঘ আহ্বান।
আমাকে নোনা ঢেউ ছুঁতে চাইছিল ধরা দাও ধরা দাও বলে।
বুঝিনা সেকি জন্মান্তরে প্রোয়সির আলিঙ্গনের ডাক নাকি
অবিনশ্বর মৃত্যুর ব্যাকুল ছুঁতে চাওয়া নেশা।
শুধু আমাকে নোনা বালিচর আহ্বান করছিল তার বুকে ক্ষণস্থায়ী পদচিহ্নের।
নিঃস্বার্থভাবে সে আমার পায়ে বালির আস্তরণ দিয়ে যায়।
ক্ষণিকের আলিঙ্গনে পূর্ণ মহাকাল পূর্ণ মহৎ নোনা বালুচর।
হে নোনা জল আমি আসছি, আমি আসছি, আমি আসছি।