ভাসি তো কতই, মনে হয় এই বুঝি আলোহাতে দরজা খুললে তুমি, আর আমার প্রথম ঘুম ভাঙল তোমার নতুন শাড়ির গন্ধে আর হাত ভর্তি চূড়ির শব্দে। মনে হয় অবধারিত দেখা হলো বলে, আর কতদিন প্রেমহীন কাটবে বলো, এলোচুলে শান্ত পায়ে,চন্দনের ফোঁটায়, একরাশ লাজুক হাসির পসার নিয়ে প্রথম পরিচয় হবে, আমি খুব ভোরে শালুক দীঘির সবুজ ঘাসে বসে তোমার মেয়েবেলায় স্কুলে যাওয়ার, তোমার মায়ের মৃত্যুর পর তোমার বাবার কাছে আদর খাওয়ার গল্প বলবে, বলবে এতকাল পরে তুমি আমায় আবার কুয়াশামাখা ভোর দেখালে, তোমায় যে কেউ এতদিন পরে সস্তায় ফুটপাথ থেকে ফুচকা খাওয়ার আবদার মেটালো, নিজের মতো করে বাঁচতে শেখালো ক্ষণিক - শুনে আমার হৃদয় অনেক গভীর আর রোমাঞ্চে ভরে উঠবে,জানো।
এই যে সরোবরে বালিহাঁস, পাশে কাশবনের ঢেউ এসব চিনেছি আমি ছবি তুলতে ভালবাসি বলে নয় কিম্বা তুমি ব্যালকনিতে রাত জেগে চাঁদ দেখো বিভোর হয়ে আর আমি একটা সুন্দর ছবি তুলে নাম দেবে চাঁদ দেখছে চাঁদকে বলেও নয়। কী যে আবেশ তোমার নাকে জমা ঘামে! নৌকোয় ঘুরতে নিয়ে যাব তোমায়,তবে জল ছিটিয়ে তোমার মায়া চোখে দেখা নেশার ঘুম ভাঙাবো না,বৈঠার ছলাৎ শব্দে তোমার মুক্তহাসি মিশে যাবে,তুমি মুঠোভর্তি জল আকাশে ছড়িয়ে দিলে আমার ঘুম ভাঙবে আর চোখ খুলে দেখব প্রতিদিনের মতো আমি স্বপ্নে ভাসমান।