রোদের মন ছায়া খোঁজে,বৈপরিত্য থাকলেও ওরা একসাথে সেই ছেলেবেলা থেকে
রোদের সাথে ছায়ার মেলামেশা সূর্য আছে বলেই
মালিক বলে কথা,তাই সূর্যের হুকুম দুজনেই মানে।
ওদের বন্ধুত্ব এতই ভালোবাসি বলতে হয় না,তবু ভয় করে রোদের, কতবার ভেবেছে বলেই দেবে, কিন্তু বলা হয় নি, ছায়াও চায় রোদ কিছু বলুক, নইলে সূর্যের রকম সকম তার ভাল ঠেকে না। সেদিন রোদ ছায়াকে অনেক সাহস করে বলতে পারেনি দেখে ছায়া ক্ষেপে গিয়ে রাম ধোলাই দিয়ে বলল - ভালোবাসিস বলতে এত দেরি,ছেলেমেয়ে কবে হবে আর মানুষ করব কবে, বলে দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরল। তারপর থেকে কেউই তাদের কুনজরে দেখেনি, সূর্যও না। কিন্তু ছায়ার যেন কিছুদিন পর থেকে রোদের কিছুই ভালো লাগে না,কেক কাটা না, তাদের প্রিয় লেকে বসা না, বিকেলে ঘুরতে না, ডিনার না, আাজকাল সাজগোজও আর ভালো লাগে না। রোদকে সেকথা বলে দেয় একদিন। হাস্যোজ্বল রোদ ক্রমে নীরব নিস্তেজ হয়ে যায়। রোদও একদিন কিছু না বলে চলে গেলে যায়। সেদিন উপলব্ধি করে যে তাকে কেউ খেতে বলছে না, রাতের আলো বন্ধ করছে না, শরীরের যত্ন নিতে বলছে না। কিন্তু সে এইসব অনুভূতির কথাও রোদকে বলতে পারে না।পরেরদিন রোদ বাড়ি এলে হাউমাউ করে কেঁদে জড়িয়ে ধরবে ভেবেছিল, কিন্তু রোদের বিমর্ষতা দেখে কিছুই বলতে পারেনি। রোদও জানিয়ে দেয় আর সে ছায়ার সাথে থাকবে না। বাজ পড়ে ছায়ার।তবু সে কিছুই বলতে পারে না। শুধুই কাঁদতে থাকে। রোদ বুঝতে পারে ছায়ার কষ্ট হচ্ছে, অবশেষে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে ভুল স্বীকার করে,এমন আর হবে না, প্লিজ যেও না। রোদও স্বীকার করেে নেয় সে মিথ্যে বলেছিল, শুধু রোদের পুরোনো ছায়াকে ফিরে পাওয়ার জন্য। অনেকদিন পরে রোদছায়ার সংসারে অঝরে বৃষ্টি নামল।সাক্ষী থাকল জোছনা রাত জেগে।