বটের ঝুরি আর সূর্যাস্তের মতন
দরবারি কানাড়ায় ভরাট হয়ে নামে
যৌবনান্তের নরম ছোঁয়া
যেতে যেতে পিছন-ফেরা-দৃষ্টিতে ভাঙা পাড়ের ক্রন্দন ক্রমশ বৃহৎ হয়ে আসে ঝাপসা পথেও।
শীতুড়ে উনোদুনোয় গা বাঁচাতে
হাওয়ায় মেশাই রোদোষ্ণ মর্মিতা
জানার কীর্তিতে ভাঁটার সংসারে
হাভাতের মতো উড়ে আসে মোটা
আস্তরণ। কুলোয়-না-তবুও মনোভাব
ধুনোরীর প্রবল জ্যা-আঘাতেও
আস্টেপৃষ্টে বেঁধে রাখে ছাল-ওঠা মন
কবে মাড়িয়েছি আমৃত্যু দুঃখের ছায়াপথ,
কোন ক্ষণে ধরেছি শিল্পকে
ভালোবেসে বার্ধক্যহীন হাত;
ভাত কী ফেনাভাতের গন্ধে তরুন স্বপ্নের দৃষ্টিতে হয়ে উঠেছিল আলেকজান্ডার!
কবে মিশরের নীলে বা সিন্ধুর তীরে
আদি লিপিকরের খোঁজে ইতিহাস বানিয়েছিল বন্দর?
হঠাৎ ক্ষ্যাপা হাওয়ায় প্রশ্নেরা গোঁত খায় কাটা ঘুড়ির মতো... আর আমার আমি ধারালো বটির সামনে আধমরা মাছের মতো দাপাদাপি করতে থাকে অহর্নিশ।
দূরে বিন্দু-আলো হাতে কে এগিয়ে আসছে...!