ঋণে ভরা
-------
# রমেন_মজুমদার  ১৭/১২/২০২৪

মায়ের কাছে ভীষণ ঋণী দুধ খেয়েছি বলেই জানি;
তেমন ঋণী একটু হলেও বাবার কাছে তাও যে মানি।
ওরাই দুজন দেখিয়েছেন আলোর ঝলক কেমন ধরা!--
দেখিয়েছেন বিশ্বটাকে আপন করে কাছে পাওয়ায় ঋণে ভরা।।

ফুলের কাছে যেমন ঋণী মৌমাছিরা মধুর মোহে,
তেমন ঋণী তোমার কাছে ঘরসংসারটা গুছিয়ে দোঁহে!--
হওয়ার মোহ স্রোতের কাছে সাগর জলের
খেলনা যেমন;
তোমার কাছে ঠিক তেমনি বাউলা কবি দুষ্ট তেমন!--
মুখের কাছে মুখ নিয়েছি বুকের মাঝে বুক দিয়েছি সেটুক জানি!--
তাইতো আমি শুদ্ধ জলে স্নান করে আজ
চিরঋণী।।

প্রিয়তমা ডাকব তোমায়, কী নামে আজ
সঙ্গোপনে--
শুদ্ধ সুখের ভাবনাতে আজ চিত্ত অধীর
আকর্ষণে!
যৌবনের ঋণ শুধবো কেমন তৃষ্ণা কাতর
জিহ্বার স্বাদে!--
দুই মোহনার তীরে রাখা ধবল গিরির মুগ্ধ চাঁদে---
সুখ ছুঁয়েছি দুঃখ ভুলে তোমার অধর ডিঙিয়ে জলে,
তাইতো আমি পবিত্র ঋণ শোধ করেছি দুহাত তুলে।।

সত্যি বলছি দিব্যি দিয়ে হাত রাখিলাম মাথার চুলে--
হাতের উপর হাত রাখিয়া আঙুলের সুখ আঙ্গুল তুলে;
পায়ের চরণ ছোঁয়ার পাপে,চাইছি ক্ষমা দ্বন্দ্ব ভুলে!
মন্দ কথার উত্তরে সুখ নিলাম দুজন কষ্ট ভুলে।
এই জীবনে আমি ঋণী তোমার কাছে হলেম ধনী
হার মানালে মৃত্যু দিয়ে শেষের খেলায় জিতিয়ে গেলে...
তবুও আমি দারুণ ঋণী অশ্রু ফেলার পবিত্র জলে।।

নর-নারীর ঘর সংসারে দুদিনের প্রেম মোহের খেলা !
কষ্ট খেলা, পষ্ট বলা, নিতান্তই এক জীবন অভিধান;
কাব্য লিখে, সভ্য কবি হতে চাওয়ার পাপ সমাধান!
তোমায় নিয়ে আজও ভাবি মাতৃ হারার এতিম যারা !
মোহান্ধ মন জীবন মুক্তির পথ কতদূর অন্ধ যারা!
মুক্তি পেতে জীবন পণের সুখ পোহালাম ব্যথার বীণে!
তাইতো নারী মাতারূপে রাখছ ধরে এই পুরুষে বাঁচার ঋণে।।
------------