পণমূল্য
-----
রমেন মজুমদার
....................
পণমূল্য দিয়ে কিনে আনি তাজা প্রাণ!
সুঘ্রাণে ভরপুর থাকে দ্রব্যের ভিতর,
তাতে লেবেল থাকেনা সাটানো পণ্যের গায়;-
কেবল বুকের উপর আস্ত সুখাগ্নি সোপার্জিত থাকে ঈশ্বরের আশীর্বাদ ।
উৎপাদিত পণ্যের নামগোত্র-বংশ পরিচয়
জন্মস্থান এবং একটি ঠিকানা চিহ্নিত থাকে,
যা তার ট্রেডমার্ক !
সেই অনুযায়ী ব্যবহৃত হতে থাকে দ্রব্যটি
লাইসেন্স ছাড়াই........
স্বইচ্ছায় স্থান পরিবর্তন করে সে নিজেই,
ইচ্ছার বলিরেখায় বির্যায়িত হয় আগামী প্রজন্ম!
মূল্যছাড় ও পরিষেবায় পরিমার্জিত হয়
রাতের দারিপাল্লায় ।
অযাচিত ফর্দ ছাড়াই বিকিকিনি হয় খুসবু !
কেবল তার অনম্বর হতে হয় অদ্রেয় কৌপন বহির্ভুত !
ধার-দেনায় হয়না বিকিকিনি !
বাকিতেও হয় না লেনদেন,
এককালিন মূল্য পরিশোধ করে আনা দ্রব্যের
ব্যবহার সারাজীবন নিশ্চিন্তে করা হয়
অমৃত তৃষ্ণায় ।
মূল্য ফেরত বা পণ্য ফেরত হয়না ইহ সংসারে,
একবার পণ্যের গায় সিল মারা হয় শ্বেত-রক্তে !
সিঁদুরের লাল রঙকে চমকে দেয়
শ্বেত শাঁখায়......
একদিন এমনি করেই বাঁধা হতো দুইহাত লালসুতোয় পণমূল্যের লেনদেন ;-
দাম্পত্য সুখ ডিঙাতে হলে পণমূল্য দিয়ে আনতে হতো নতুন বউ ।
-------
(বিগত সমাজ ব্যবস্থায় নারীকে পণ্যদ্রব্য হিসাবে পণমূল্যে নিয়ে আসা হতো ছেলে সন্তান বিবাহ দিয়ে।তারই পরিপ্রেক্ষিতে পণ্যদ্রব্য শব্দটি ব্যবহার করায় পাঠকদের কাছে মার্জনা চেয়ে নিলাম)
কলকাতা ।
৩০/৫/২০