মায়াজাল
--------
সুশীতল দীঘি খানি স্বচ্ছ বারি তার,
প্রাণে জাগে স্বাদ আজি নিতে উপহার
তাই দেবী মহানন্দে করিবারে স্নান---
চরণে চরণ ফেলে রাখে পরিধান ।
সুনন্দ কৌমুদি সুখ দীঘি চতুর্পাশ
বহিল দখিন বায়ু--শীতল বাতাস ;
তারপরে ধীরে ধীরে খুলিল বসন -
রাখিল বৃক্ষের ডালে ঊর্বশী তখন।
ছল করে ইন্দ্রদেব পক্ষীরূপ ধরে
নামিলা ঊর্বশী জলে স্নান করিবারে।
তারপরে দেবেন্দ্র, কহিল পবনেরে---
কামিনীর অঙ্গে ঢেউ লাগে ধীরে ধীরে।
মুক্তদেহ জলে কেলি করেন ঊর্বশী
মুক্তাহারি দন্ত যেন পূর্ণিমার শশী !
সুকোমল দুই বক্ষে পবনের ঢেউ----
করে স্নান একা নারী না দেখিল কেউ।
মায়াজালে ইন্দ্রদেব মোহিত মদনে--
জল শুদ্ধ গঙ্গাস্নান করে সঙ্গোপনে ;
তারপরে ধীরে ধীরে সোপান উপরে
রাখিয়া চরণ খানি উঠিলেন ধীরে ।
কুন্তল বহিয়া জল কামিনীর অঙ্গ
ধীরে ধীরে শুকাইল তাহারি সর্বাঙ্গ ।
তারপরে পড়িল বসন সঙ্গে অন্তর্বাস ---
মায়া ছাড়ি বলে ইন্দ্র আমি তব দাস।
পবিত্র মার্জিত কেলি করে দেবতারা
ক্ষণপরে আকাশেতে উঠে লক্ষতারা।
কহিল ঊর্বশী হেসে তুমি মহারাজ---
কেন মোরে মায়াবলে ভেঙে দিলে লাজ।
দেখিনু তোমারে দেবী স্বর্গ হতে আমি
অযুত রূপেতে তুমি, এলে ধরা নামি---
তাই বিশ্বে রাখি প্রেম চিরন্তন হেথা ;
সকল জীবেতে প্রণয় রাখি সর্বোথা ।।
রমেন মজুমদার
২৬ শে এপ্রিল '১৯ রাত ৯:৫মি
হরিদেবপুর।