জীবন সন্ধি
----
রমেন মজুমদার, ১১/০৯/২০২৩
হৃদপ্রেম খুলে দেখি বন্দি আমি ঘরে,
সে ঘর দখলে আছে দেবতাদের কাছে;
একটি মাত্র ছিদ্র রাখা দমের তাগিদে,
কতকষ্টে বায়ু আসে তাহার ভিতরে।।
চলিতে চলিতে পথে, দেখি বড় বড় নদী...
পার হবো ইচ্ছা জাগে কোথা সেই তরী (?)
নোঙর লয়ে যদি যাই,-নদীর ওপারে...
পালের ভিতরে হওয়া খেলে নিরবধি।
রাখিব বাঁধিয়া বায়ু,-- নাসিকার পালে,
ফের যদি অভিযাত্রী, সূচনাতে ফিরি --
পার হবো মহাসাগর! সুউচ্চু পাহাড় !
পবন কহিবে মোরে;--তুমি ঈশ্বর খাবার।।
একদিন ডিঙ্গাইব ফেলি নোঙ্গর খানি!
পরম সমুদ্রদেব দিবে, ইচ্ছার মূল্যখানি ;
খুলিয়া বন্দি বায়ু,দেখিব আকাশ তারা!
হাতের নাগালে পাবো ঈশ্বরের বাণী।।
এবার ছুঁয়ে দিব অশৌচ করে দেবতারে;
সকল দেবতারা আমায় করিবে বন্দি!
সূচনা যাই থাক, বায়ু ভয়ে পালাইবে জানি
থাকিবে না ক্ষুধাতৃষ্ণা বন্দি কারাগারে।।
যে নোঙ্গর পুঁতিব গাঙে,তার তট শক্তচাই;
সন্ধিবদ্ধ ঘর বায়ু ,যদি বা; যায় পালাইয়া...
নালিশ ঠুকিব দেবীর কাছে,স্বর্গেতে গিয়া;
সেলসম পাথর চাপায়-- শাস্তিটুকু চাই!
আমি ও দেবতা সন্ধি,করে হব মোরা বন্ধু!
কালের যাত্রীক কাল বহিতেছে কতকাল!
অগুনতি অব্যয় বাণিজ্য জীবপ্রাণ নিয়ে!
তবু খেয়া পারে নিব,সন্ধিবদ্ধ বায়ুমোহ হয়ে।।
---সমাপ্ত,শিখামন্দির।।