যেদিন প্রথম ভালোবাসি
-------
রমেন মজুমদার,
তোমাকে নিয়ে একদিন অবিররাঙা সুখে
ভেসে বেড়াই সূর্যশিখায়...
কী গনগনে আগুন!
মনে হয় ছুঁতে পারব কিনা জানিনা;
তুমি যে নারী,রক্তিম প্রেমে ভাসাও পৌরুষ!
সূর্যের আলোতে ছড়িয়ে দাও সুখ;-
অথচ,
পড়ন্ত বেলায় গড়ে ওঠে স্ফুলিঙ্গ সোনালী যৌবন।
ভোরের মিহিরোদে ছড়িয়ে দাও দেহ
নম্র ঘাসের বুকজুড়ে শিশিরের প্রতিবিম্বেররূপ!
তবুও খুঁজি মনের কল্পনায় তোমাকে...
অন্তর মোহনার তীরে পবিত্র জলে একান্ত সে আশায়।
সেদিন মনে হতো তুমি সেই ঊর্বশীর ছায়া,
কীরূপ!-- আহা!
প্রতিমার রূপ তোমার আবিষ্ঠ করে
যেন আমার গ্রামের ফসলের মাঠে
একফালি চাঁদ।
একদিন মনে হতো তুমি নদী মাতা
তোমার স্তনে মুখ পৃথিবীর বীর সৈনিক,
সাঁতরে ওপারে যাই দু'বাহু তুলে...
ছিনিয়ে আনি দুপুরের রোদমাখা স্ফুলিঙ্গ
গনগনে সুখ!
আবার,
হারিয়ে যেতে চাই ভোরের কুয়াশার মাঝে।
মনে হতো তুমি চেয়ে আছ হাতছানি দিয়ে,
একটি সুখের রাজ্যে নিয়ে যেতে শেষ বেলায়;
তুমি সেই--- তুমি সেই পদ্ম পাতার নীর!
প্রতিভাত পুকুরের পদ্মে ফোঁটা নতুনের কুঁড়ি।
আশঙ্খা অন্তরে জাগে কে তোমায় তুলে নিয়ে যায়।
কে সেই আগন্তুক!
নির্জন জলের তরঙ্গে ভেসে চলে যায় দূরে বহু দূরে----
অবিকল তোমার অনুভূতিময় ঠাণ্ডাজলে
সিক্তহতে চায় দেবত্ব আশীর্বাদে...
তবে, আমি কী পারব তাকে ছুঁতে ?
দিবসের ক্লান্ত সন্ধ্যায় যদি হারায় সে ?
যদি নিভে যায় সব আলো পৃথিবীর বুকে থেকে ?
যদি গিলে খায় কালের কেউটে সেই ভালো লাগাকে?
পৃথিবীর অমোঘ দানে ফিরেপেতে চাই
তোমাকে রাতের স্বপ্নশয্যার কোলে...।
তোমার বুকের পরে জন্মনিব পৃথিবীর সকল তাজা প্রাণ হয়ে...
একখণ্ড ভুতলের গেহ ভরেওঠবে শস্যের পাহাড়!
আমার ভালোবাসায় বাঁচাবে তুমি
সকলের প্রাণ!
শুধু একবার বলে যাও;
বিরহ বৃক্ষের তলে ছোট একটি ঘর হবে
পৃথিবীর মানুষের জন্য শুধু বেঁচে থাকার।
আজও আমি কেঁদে বুক ভাসাই---
ভালোবাসি বলে
যেদিন প্রথম তোমাকে ভালোবেসেছিলাম।
নীরব নদীর বুকে গান গেয়ে যাই--
সে বুক তোমার ওষ্ঠের কোলে এক ফোঁটা
চোখের জল নীরবে ফেলাই।
মোহতার কোল জুড়ে আমরা যেন বাঁচতে পারি
একটি পবিত্র ধরণীর সৃষ্টির আশায়।
------
দখিনের খোলা জানালা।
রমেন মজুমদার
২১/০৬/২৪