একলা আমি সেই
----
কলমে - রমেন মজুমদার,25/08/24
---------
মরণ নেশা বরণ করি থাকলে তুমি কাছে,
এক চুমুকে গিলে ফেলি,ওষ্ঠ খানি যাঁচে।
ইচ্ছে জাগে সবটা ছুঁই আপন মুঠি ভরে..
বুকের মধ্যে মাথা গুঁজে দুঃখ আপন করে।
দিন পেরিয়ে দিন গেল যে অনেক দূরে...
তোমার দেখা পাইনা কেন মন বেদনা ভরে।
এইতো সেদিন চলে যাওয়া দিনক্ষণ বুঝি ঠিক!
তারায় তারায় হাসছ একা,আমিও যে বেঠিক।
ইচ্ছে জাগে একলা রাতি তোমায় কাছে পেলে,
যেতাম আমি রামধনুটার আকাশটুকু ভুলে।
ইচ্ছে হলেও পাইনা কাছে--নীল গগনটা দূরে!
রাত্রি গুলি কষ্ট সয়ে কাঁদছে ব্যথার সুরে।
বুকের মধ্যে নদী হয়ে নামছে বৃষ্টি যখন,
একলা থাকার যন্ত্রণাটাও হৃদে ওঠছে ক্রন্দন!
স্বপ্নে ভাবি তোমার ছোঁয়া হাতের স্পর্শ মিষ্টি,
হটাৎ ব্যথায় ঝমঝমিয়ে নামল চোখে বৃষ্টি।
আমি যখন শরীর ছেড়ে নিদমহলে যাই--
ঘুমের মধ্যে আসবে কাছে,কল্পনাতে সুধাই।
আবার ভাবি,অর্ধ রাত্রি ক্লান্তি ঘুমের ভিতর,
সুখের নিদ্রায় আছ শুয়ে নিথর বুকের উপর।
হাতের মুঠোয় হাত রেখে দুজন মিলে আজ;
জানিয়ে দিব নতুন করে ঘর বাধতে নেই
লাজ?
যেমন করে শিশির দানা রাখছে ঘাসের মাথে;-
তেমনি আমায় আলগে রেখে সঙ্গ দাওগো সাথে।।
হিলেম বনে বসন্ত বয়, ফুঁটে পলাশ - শিমুল,
একলা আমায় ফেলে গেলে,কি ছিল মোর ভুল?
আমি এখন একাকিত্বের অন্তরালেই থাকি!
অর্ধ বসন্তকাল হারালাম;ছিল অনেক বাকি।
মনে পড়ে,জড়িয়ে বুকে আদর যখন করতে,
শীতের ওমের পোশাক হয়ে বুক খানা যে ধরতে!
চোখের পাতায় নিঃশ্বাস ফেলে ওষ্ঠ ছুঁতে
ধীরে..
স্বর্গ সুখের ঝর্ণাধারায়,ভাসতাম রাত্রি ভরে।
আজ তুমি নেই কাছে!- একলা কাব্য লিখি...
একলা পড়ি, একলা শুনি একলা আঁকিবুঁকি!
এই বুঝি সেই জীবন কাব্য!--শোনার মানুষ নেই!
একলা ঘুমের রাত্রি কাটাই একলা আমি সেই।
সামাপ্ত-----
=================