দুখি জনে করো দান
---রমেন মজুমদার,
29/08/23
আসিয়া ভবের পরে,দেখি কত রঙ ধরে
কত মানুষ এই ভবে।
কেহ করে ঘৃণাভরে,কত মানুষ কত ঘরে;
রহে তারা স্বাত্ত্বিক বৈভবে।।
কত প্রাণ অনাহারে, দেখি কত চারিধারে;
কাতরায় ক্ষুধা নিয়ে পেটে,
দেখে না কেহ তারে, বস্তি কিম্বা রাস্তার পরে;
কেহ খায় ডাস্টবিনে এঁটো চেটে।
উপহাসে ঠেলে পায়, কাঁপে না তাঁদের হৃদয়;
দুটি পয়সা দান করিবার।
এই কী সমাজ হায়! কোন হৃদে কোন দয়ায়;
ঘৃণাকরে দেখি বার বার।।
এসি ঘর ফ্লাট বাড়ি, শহর জুড়ে ভুড়ি ভূরি
ছুঁইছে আকাশের ঠিকানা,
রাজপুরী রাজবাড়ি, ভোজে বিন্যাস কাড়ি কাড়ি;
হেঁসেল ভর্তি থাকে কত খানা।।
কে দেখে ব্যথিত জনে, পদে দলে ওরা ক্ষণে;
ফেলিয়া থু থু জনে জনে!
করুণ জীবনের প্রতি, দয়া মায়া ইতি উতি;
করে না সুহৃদ দিয়া মনে।।
পিশিয়া লাশের বহর! কত গাড়ি কত শহর!!
হয় কত মা'র কোল খালি।
দু'খানি স্নেহের করে , মৃত লাশ নাহি ধরে;-
ফুটপাতে চলে রক্ত হলি।।
ভবেতে দয়ামায়া নেই?- হারাও কেন রে খেই !
তুলে নাও অসহায় জনে।
তোমাদের দয়ার আলো,দাও দেখি একটু জ্বালো;
আপনি সুহৃদ সুজনে।।
সুজনের অভাব যে আজ, কুজনের নেই তো লাজ;
কে কার হয় আপন জন ?
মানুষ মানুষের লাগি,হৃদয় উঠুক সে জাগি
অসহায় জনেরে করো আপন।।
সংসার সংকীর্ণ সময়, চাহি দেখ হতেছে ক্ষয়!
পলে পলে দণ্ডে দণ্ডে তার,
নিজ স্বার্থ বিসর্জন দাও, দুখি জনে কাছে টেনে নাও;
অপরে রাখ তবে উপকার।
চাহিয়া দেখ সব মিছে, সময় ধাইতেছে পিছে
মরণের দ্বীপ দিপান্তরে!
সহায় সম্পদ রবে পরে,চোখ যবে মুদিবে ঘরে;
সকলে কাঁদিবে চিৎকারে।।
তাই বলি জ্ঞানী হে সুজন, ঘুচাও দৃষ্টির কুজন;
নিরীহ জনে কর দান।
বাড়িবে তোমার ইজ্জ্বত, বলিবে লোকে মহৎ;
অনায়াসে পাবে রে সম্মান।।
------ শিখা মন্দির,হরিদেবপুর।।