বিবেক মোহর
--রমেন মজুমদার
(পূর্বলেখা অপ্রকাশিত)
----
মোর সিরাউপশিরা কুড়ে খায় বিবেক, একটি আর্ত দহন পরস্পরকে চিনে নিতে খুলেদেয় মোহনার কৌপিন কবির কলমে, লঘু হতে আরও লঘু শিশিরের রক্তিম চুম্বণ।
জয় নয়,পরাজয় নয়, অন্তরের অন্ত বন্ধণ,
আহত পাখি কাঁপে ব্যধের তীক্ষ্ম শরাঘাতে;
একটি ভূখণ্ড সঁপে দেয় নিজসুখে বণিক'কে,
জড়াজড়ি করে পল্লব, বাঁচেগাছ তাঁকে নিয়ে !
জ্ঞান ও অজ্ঞানী ক্ষতবিক্ষত হয় চিনে নিতে,
অন্তর্বর্তী-অনাবৃত হয় পৌরুষ-নারী দুজনে;-
সোনালী মোহরে বন্দি,দু'হাত কুশলের হিতে,
বৃক্ষফল পায়কাছে,আত্মপণ্য সব লয় গুনে।
জীবন সঞ্চয়বিধি, লালসুতা গুরুমন্ত্রপাঠে ;--
বাঁধে দুটিমন তাতে ধানদুর্বা নতুন বসনে,
আহতহরিণী চোখ দুরু দুরু কাঁপে বুক তাতে,
কখন পাতিবে শয্যা ঈশ্বরের ফুল পাঁপড়ি দিয়ে(?)
দাও যদি শব্দ ধার তবে লিখি কবিতাকাব্য,
নাও যদি নিয়ে নাও মুক্ত অঙ্গের বিকৃত খাঁচা!
দিলে দান শ্মশানে দেহখানি তুলে দেহের উপর!
ঐশিকস্বর্গদহন,পুড়ে ছারখার হবে পাপিষ্ঠ সম্পদ!
পরাজিত কেউ নয়--সকলি ঈশ্বরের দূত ;-
পূর্ণফলে সাম্যসুখ!নেই তাতে কোনো খুঁত,
কবি মুছে, লিখে,ছিঁড়ে ,পণ্যের সব লেনাদেনা,
শোধহয় পরিপূর্ণ একটি কাব্যের গুঢ় সমালোচনা।
যে পণ্য কিনেছি কড়ি,মন তার অধিক পরিমাণে,
আর্তদোঁহে বিবসন,বিম্বিত দেহ মূলধন ক্ষিণে--
ফলেতে চুম্বন রেখে অঙ্কপরি সরল অনুশাসন,
পণ্য রেখে পণ্য দাও,মন রাখ মনে অনুক্ষণ।
বিবেকের মোহরক্ষীর তুলে লও কবির কলম,
তুমি খাও,তাকে দাও,তত্বরস ওষ্ঠ বরাবর ;
সাতপাঁকে বাঁধা কলাগাছ ঈশ্বরের বাণী ...
দেহ খনি মূলধন উপাস্য আরাধনায় জানি ।
কলকাতা থেকে।