দেবীর মৃত্যু ঘট
---
রমেন মজুমদার,০৩/০৭/২৪
---
যায় গড়িয়ে দিনের বেলা,
রক্তলাল সূর্যখানি বুকের রক্ত ঝরা।
দেবত্বের সুখ আঁচল তলে বুকের দুখান
থালা...
সেটাই যে নারীত্ব!--
লুটে নেয় শিশু স্তনে চুমুক দিয়ে, সবটুকু তার মাতৃত্বের অধিকার।
রক্তে গড়া দু'ফোটা দুধ ফুলের ঘ্রাণে দান,
যৌবনের দিকভ্রান্ত;
রাখুক আলগে সম্মোহনের লজ্জানত মুখ!
ঈশ্বরের দেয়া সৃষ্টির যত মান।
বেভুল কিছু নীতির খাতায় রাজনীতিরা মরে,
স্বাধিকারের জবানবন্দি মুক্ত আন্দোলন!
কোন কালের সেই নারীরা নিগৃহীত!
আজও তার ধারাবাহিকতায় সমাজ চলে
এই হলো তার নারী অধিকার ?
মায়েরা মুখ লুকিয়ে রাখুন মেয়েদের অত্যাচারে!
পথের ধারে লাশের উটকো গন্ধ!--
নগ্ন মেয়ের ঊরু বেয়ে রক্ত ঝরা নির্বিকারে!
এই হলো সেই স্বাধীনতার দুয়ারটুকু বন্ধ।
শুদ্ধ জলে সারবে স্নান গঙ্গায় ধুয়ে কৌপিন;
পূজারী পূজার ঘরে অঞ্জলিতে মগ্ন!--
ভোগের দেবী নীরবে নিশ্চুপ!--
সেই দেবীরই আর এক অঙ্গে রক্ত ঝরে--
এ'সমাজেই তারই নির্বিচার।
গর্ভবতী নারীও কী ভোগের থালায় প্রসাদ?
পূজারী পূজা করে;-মাটির মূর্তি দেবতারাও নিশ্চুপ!!
বিচারশালায় হয়না শেষ বিচার।
শান্ত স্রোতে ভেসে যায় শুকনো ফুলের নৈবেদ্য!
মাটির ঘরে ক্ষুধাতুরের সেই নগ্নপ্রাণ!--
এরাই যে একদিন মায়ের আসনে বসবে;
কোলের শিশু মা বলে তারে ডাকবে,
দূষিত সমাজ দেখবে চেয়ে চেয়ে।
বেদীর মৃত্যু ঘটে শুকিয়ে গেছে পুরাতন সে মালা!
নগ্নতার শিখরে ঘুণে খাওয়া অচল সমাজ!
ঠাঁই পেয়েছে আজকের সমাজ দেবীর খোলা ঘটে।
মুছে যাক সকল নগ্নতার ছাপ যতটুকু আজ আছে,
বোধের কিনারে বোধগুলিরা বাসা বাঁধুক,
মায়ের কোলে দুগ্ধশিশু স্বস্তিতে বাঁচুক আজ।
বিচারের কাঠগড়ায় নীরবে না কাঁদুক শোষণের পরাশক্তির ছলে!
আমার মায়ের-বোনদের ইজ্জত বাঁচুক দেবীর ঘটে সতেজ ফুল হয়ে:--
বদলে দেয়া মায়েদের আঁচল উড়ুক
অধিকারের বাসন্তিক হওয়ার
দখিনের কোলজুড়ে।
------