আমার স্বাধীনতায় তুমি
----- রমেন মজুমদার
২৯/০৬/২৪
----
দিকপাল দিগন্তের ঠিকানায় আজ সমাহিত যারা,
তাঁদের স্মরণে পুষ্পার্ঘ্য দিতে একটু অধিকার দাও।

তুমি আমার আজন্মের স্বাধীনতা...
বাংলা ও বাংলাদেশের একটি শুভক্ষণ,
লগ্নে অর্পিত ভারত মাতার স্থপিত কর্ণধার যারা ছিলেন ;
তোমাদেরকে হাজার সেলাম।

শহরের পর শহর জুড়ে রক্তে রঞ্জিত পদচিহ্ন!
সে রক্তের প্রতিটি ধূলিকণায় আমার প্রাণ!
আমার স্বাধীনতার বিউগলে ধ্বনিত মুক্তির
ঠিকানায় আমার মায়ের ভাষা!
আজও ঘুমিয়ে আছে সকল শহীদের মাঝে আমার--স্বাধীনতার মুক্তির আন্দোলন।

ব্রিটিশ বা গ্রিসীয়, অথবা পাক পিশাচের
ঘৃণিত উল্লাসে লক্ষ মা-বোনের বীরাঙ্গনা হওয়ার প্রতিবাদ করা আমার স্বাধীনতা।

প্রেমিকের মুখে দু'মুঠো অন্ন তুলে দিয়ে
আমার সন্তানের বেঁচে থাকার দাবি আমি তুলব,----এ' আমার স্বাধীনতা।

কতদিন প্রেমিক-প্রেমিকা বসেনি একসাথে বকুল তলার মাঠে,
কিম্বা ভিক্টরিয়া থেকে রমনার উদ্যানে !
তোমার দুটি মসৃণ হাতের ছোঁয়ায় আমার চিরকালের স্বাধীনতা।

তোমাকে ডাকবো প্রেয়সী কিম্বা জননী বলে....
আমি নির্লজ্জ গেঁয়োর মতো খোয়াতে পারিনা আমার মাটির সম্ভ্রম!

সমাহিত কবরের পাশে বসে অশ্রুফেলব,
এ আমার স্বাধীনতার লাল সূর্যের প্রেম !
জন্ম থেকে জন্মান্তরের অগ্রজের মুখোমুখি বসে-
দীর্ঘদিন বলি না প্রেমিকা,
বলি না ঝরে যাওয়া গোলাপের
কতোদিন আনি না মুখে প্রেয়সী নারীর সেই বঙ্গ মায়ের নাম!

বর্ষণের রাতে অনাহারী শিশুর কান্নায়
একমুঠো ভাত তুলে দিতে আমার স্বাধীনতা কথা বলে চিরকাল।

কতোদিন দেখিনা তোমার মুখের হাসি,
প্রিয় স্বাধীনতার এক একটি গোলাপ
ঝরে গেছে যুদ্ধক্ষেত্রে গ্রেনেডের শব্দে,
একগুচ্ছ কামানের হামলায় ঝরেছে আমার মায়ের আঁচলে মোছা রক্তের
ঝর্ণা স্রোত!

অসংখ্য খুলির খোলসে আর্তনাদ ওঠে
কথা বলে আমার সঞ্চিত স্বাধীনতার ডাক!

তবুও আমার আজন্মের স্বাধীনতা বার বার ফিরে আসবে,
শত্রুর মোকাবিলায় অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়বে সম্মুখ সমরে!
বলবে,
অধিকার দাও, ভাত দাও, আমার শিশুর স্বাধীনতা ফিরিয়ে দাও চিরকালের তরে।
এ আমার স্বাধীনতা,
অমর হবে চিরকাল।।
------