কিশোরগঞ্জ আমার দ্যাশ, ঐতিহ্যে ভরা মাটি,
নরসুন্দার ঠাণ্ডা বাতাস, বয় রে সকাল-রাতি।

গুরুদয়াল বিদ্যা ঘরে, জ্ঞানী মানষ গড়ায়,
শিক্ষার আলো জ্বইলা থাকে, ভবিষ্যতের তরে রয়।

গণি মিয়ার পনির-মিষ্টি, যার নাম দেশজোড়া,
একবার খাইলে মনটা রে ভাই, স্বাদ যাবে না ফুরাই বেলা।

নবান্ন এলে বাজে ঢাক, মেলায় মেলে সুখ,
পিঠা-পায়েস, মুড়ির মোয়া, স্বাদে লাগে বুক।

শোলাকিয়ার ঈদের জামাত, বড় যে দুনিয়ায়,
হাজার হাজার মানুষ আসে, নামাজ পড়ে তায়।

হাওরের জলে ডিঙ্গি বায়, জেলে কয় "বলো",
ধানের মাঠে কৃষাণ হাসে, ফসল উঠল ভালো।

বর্ষায় যখন পানি বাড়ে, হাওর হয় যে টইটম্বুর,
নাও বাইয়া মাঝি কয়, "এহন মজা দুর্দান্ত জুর!"

শীত আসলে শুকায় পানি, মাঠটা হয়ে যায় সোনা,
কৃষাণেরা হাসি মুখে, ধান কেটে নেয় কোণা কোণা।

কবি চন্দ্রাবতী’র স্মৃতি গাঁথা, ইতিহাসের পাতা,
বাংলার প্রথম মহিলা কবি, কিশোরগঞ্জের কথা।

নবাব সৈয়দের ইতিকথা, রয় ইতিহাস জুড়ে,
তাঁর বীরত্বের কাহিনি, মানুষ কয় মুখ ভইরা।

এই শহর রে প্রাণের চাই, ভালোবাসা লয়ে,
কিশোরগঞ্জের নাম শুনলেই, বুকটা ফুলে রয়!