আমি এই শহরের মাঝে কোন ভালবাসা দেখিনা
চার দেয়ালে ঘেরা শহরটা বড়ই নিষ্ঠুর, মমতাহীন।
কোনদিন শুনতে চায়নি ভুখারির হা হা কার
কোনদিন বুঝতে চায়নি রক্ত ঝড়ানো এক ফোটা ঘামের মূল্য,
কোনদিন বুঝেনি হতভাগার অশ্রুসিক্ত দুচোখের ভাষা।
বিনিময় ছাড়া কোনদিন একমুঠে অন্ন তো দূরের কথা
এক গ্লাস পানি পর্যন্ত ছুতে দেয় নি।
বিনিময়ে চেয়েছে কিছু খসখসে কাগজের নোট,
হয়ত কখনও পকেট ঝেড়ে দু একটা বের হয়েছে
কখনও খুজে পাইনি একটি কানাকরিও।
ক্ষুধার বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে জীর্ন-শীর্ন শরীরটাকে,
এই শহর আমায় তাড়িয়েছে কুকুরের বেশে।
ছুড়ে ফেলেছে পচা ময়লার ডাষ্টবিনে,
কথনও ধূলোয় পিষেচে পায়ের নিচে।
আমি এই শহরের ক্ষুদ্র কণার মাঝেও দেখি পাষন্ড হৃদয়
আমি ভিখাড়ির থালা কেড়ে নিতে দেখেছি,
ভুখার পেটে লাঠি দিতে দেখেছি,
মায়ের কোলের ধন কেড়ে নিতে দেখেছি,
চোখের সামনে হতভাগা বোনের ইজ্জত নিতে দেখেছি,
প্রতিবাদ করেছি শুধু আমি একা।
বিবেকও আজ হরন করেছে নিষ্ঠুর শহর,
কারো বিবেক আর জাগ্রত হয়না, কন্ঠে তুলেনা বজ্রধ্বনি।
শহর আমায় ছুড়ে দিয়েছে কংক্রিটের দেয়ালের সাথে,
আমি ঠিকই দেয়ালের শিক আকড়ে ধরেছি।
ক্ষুধার জ্বালায় আমি মাটি কামড়িয়েছি,
তবু আমি এই শহর আকড়ে বেচে আছি।
ঐ কংক্রিটের মাঝে সবুজ দুর্বা ঘাস ফলাব বলে,
আর পাষন্ড হৃদয়ের পশুটাকে টেনে ছিচড়ে নরবলি দিব বলে,
পশুষ্যত্বের পাষন্ড হৃদয়ে মনুষ্যত্বের কচি চারা লাগাব বলে
আর ভালবাসার আচ্ছাদনে, পাষন্ড হৃদয়টা আচ্ছাদিত করব বলে।