স্বপ্ন বীজের অঙ্কুরিতে দু:স্বপ্নের ছায়া
আমার দু'পালক এখন অদৃশ্য সুঁতায় বাধা।
রোজ পহরে আমার শহরে দু:খের হয় চাষ
নিকোটিনে পোড়া ফুসফুস থেকে শুধুই বের হয় দীর্ঘশ্বাস!
থার্মোমিটারের পারদের মত প্রত্যাশা বাড়ে নিত্য
রাত পোহালে আমার হাতে দেখি পাটি গনিতের শূন্য!
কালের যাত্রায় মনটা আমার কত যাতনা সহে
কেউ দেখে না চোখের জলে কষ্টের নহর বহে!
স্মৃতির অনলে পুড়ে মরি সর্বদা
আত্মচিৎকার কে শোনে.?
ক্ষণে ক্ষণে অবচেতনে স্মৃতি গুলোয় ঝরিয়ে রাখে।
ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভাবি
কাল থেকে হয়ে যাবো সুখী-পরিতৃপ্ত মানুষ!
শত্রুরা পুড়বে ইর্ষায়,আমার মুখ ভরা থাকবে হাসি!
প্রদীপ জ্বালিয়ে হাঁটবো পথে-
বজ্রধ্বনিত্বে বলবো কন্ঠে..জয় এসেছে,জয় এসেছে!
কিন্তু তা আর হয় না
প্রহর লগ্নে দরজায় কড়া নাড়ে কুয়াশা!
ভাবনার আকাশেতে হয় বিনা মেঘে বজ্রপাত।
সব ছারখার! অভাগার কপাল!
উত্থান-পতন,জোয়ার ভাটাই নাকি মনুষ্য ধর্ম
আমার বেলায় সদা একটাই।
পতন পতন কেবলই পতন!