যাকে দেখে হৃদয় বীণার তারে এসেছে
মূর্ছনার জোয়ার!
যার জলে ভাসা প্রস্ফুটিত পদ্মের অবয়ব মুখ দেখে
খুন হয়েছি শত কোটি বার!
যার চোখের দিকে তাকালে উড়ন্ত ভ্রমর হয়ে
ডানা মেলে উড়তে চাইতাম বার বার!
যার মন খারাপের এক ফোঁটা জল
শিশির'কে করে দিতো পর!
অঝর ধারায় ঝরি তো বরিষণ!
যার উদাস দৃষ্টি দেখে বিপর্যস্ত হতো মন
ভূমিকম্পে লণ্ড ভণ্ড হতো সব!
অমাবস্যার অন্ধকারে নিমজ্জিত থেকেও
কানা হৃদয় খুঁজে চলছে তার শহরের পথ!
যার একটু খানি ছোঁয়ায় শরীর মন কেঁপে উঠতো
যেন পৌষ মাস!
শিহরণে প্লাবিত হতো হৃদয় ঘর!
যার তরে নিজেকে বানিয়েছি পুষ্প অর্ঘ্য
আরাধনায় হতে চেয়েছি ব্রত!
সেই দেবী-
অবহেলায় হাতে তুলে নিয়েছে রং তুলি!
এঁকেছে বিষন্নতার নদী!
আমি তার ভক্ত!
মৃত লাশদের সাথে তাই প্রতিবাদে হতে পারি না অংশ!
আমি জীবন্ত শরীরের প্রাণহীন কঙ্কাল
জ্যোতির্ময় আলোয় ঝলসে গিয়েছি বারংবার!
আমার রয়েছে পূর্ণ যৌবন
তবুও আমি তার পোড়ানোর উপকরণ!