কবিতা:নির্ঘুম এক রজনী
এখন অনেক রাত
কোথাও কেউ জেগে নেই,
ঘুম পরী যেন তার জাদুর কাঠি দিয়ে
গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন করে দিয়েছে পুরো শহরটাকে!
টং দোকানের চায়ের কাপের টুংটাং শব্দ হচ্ছে না।
বুক ফুলিয়ে বেল বাজিয়ে,
হুট তোলা যুগল রিকশা ছুটে চলছে না।
মামা যাবেন-মামা যাবেন বলে বাস কন্ট্রাকটার
ডাকছে না।
চির চেনা শহর'টা আজ নিশ্চুপ অতিথি যেন
মুখে কোন কথা ফুটছে না!
মৃত প্রায় শহরটা-
আবেগ অনুভূতিহীন মূর্তির মতো দাড়িয়ে আছে।
দীর্ঘ এ রজনী শুধু জেগে আছি
তুমি হীনা আমি!
ঘুম যেন অভিমান করেছে আজ
আর দেখা দিবে বলে মনে হচ্ছে না
নির্ঘুমে কাটবে সারারাত।
কারন শুধু একটাই,
আজ তুমি পাশে নেই বলে হায়!
তাই,
আজ লিখবো ডায়রির পাতায়,মনের সকল মায়ায়
ছন্দের কল্পকথায়!
একগুচ্ছ বিষণ্নতাকে সঙ্গী বানিয়ে।
উপন্যাসের পাতায় তোমার প্রতিচ্ছবি দেখে
কেটে যাচ্ছে আমার অবসর বেলা!
যেমন থাকে শুকনো ফুলের পাপড়ী
বইয়ের মাঝে!
তেমনি ভাবে তুমি এখনও আছো
আমার হৃদয় ঘরে।
জানালা দিয়ে যখন দৃষ্টি রাখি অদূরে
যদি দেখি কোন বিষন্ন বালক হাটছে
মেঠো পথ ধরে..
পাগল আমি ভাবি,
এই বুঝি আসার সময় পেলে।
আমি এখনও জানি না
তুমি কি কখনও আমায় বন্ধু ভেবেছো.?
নাকি তোমার ঐ নারী নেশার প্রয়োজন'টাই
শুধু মেটাতে চেয়েছো?
হাঁটার ছলে রাস্তার মোরে যদি কখনও দেখা হয়
দু'জনার;
দিয়ে দিও না হয় উওর'টা।
আজ বড্ড বাতাস বইছে ডালে ডালে
দরজা খুলে দেখো তোমাদের উঠোনের কৃষ্ণচূড়া
গাছটাও নড়ছে!
ধমকা হাওয়ায় শিশির কণা যেমন কেঁপে কেঁপে
উঠে;
আমার মনটাও আজ,
তেমনি ভাবে ক্ষনে ক্ষনে কেঁদে কেঁদে উঠছে!
একই শূন্যে বসবাস তবুও
রাতের আকাশের একটা নক্ষএ যেমন
আরেকটা নক্ষএের চেয়ে দূরে!
চোখ মেলে দেখো তোমার আমার বসবাসও
ঐ দূর নক্ষএের মতো
একই শহরে!
তবুও দু'জন আজ লক্ষ কোটি যোজন দূরে।