দূর থেকে তাকিয়ে সে দিন দেখলাম তোমাকে
অন্তিম পথের বাঁকে,
হৃদয়ের গভীর অন্ধকারে দাঁড়িয়ে।
পথভ্রষ্ট হাওয়ায় ভেসে আসা শিউলির গন্ধে!
আমার অনুভূতি শিরায় বেড়ে যায় স্মৃতি চাপ
শরীরে সমস্ত রক্তেরা ডেকেছে হরতাল।
এক্ষুণি বের হবে,ছেদ করে শরীর নামের প্রাচীর!
বানের জলে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে তোমাকে।
সুদূর আকাশ থেকে আমার চোখে নেমে আসে বর্ষা
যেন ছুড়ে দিয়েছে টিয়ার গ্যাস!
সব চুপচাপ!
পুরো দেহ ঠান্ডা! গ্রাস করেছে হিমেল বাতায়ন।
পরক্ষণে আমি আবার মনোযোগী ছাত্রের মত
দৃষ্টি রাখি তোমার দিকে!
মনে মনে করি প্রতিজ্ঞা,আজ পড়বো প্রতিটা পৃষ্ঠা।
ঘন তরল রক্তিমা গৌধূলি আজ আকাশের বুকে নয়
আষ্টে পৃষ্ঠে লেপটে আছে তোমার ঠোঁটে।
আমি অযথায় কেন রোজ বিকেলে আকাশ দেখি.?
হঠাৎ চোখের মাঝে জেগে উঠে অদ্ভুত এক বিস্ময়
অবাক হয়ে দেখি,
আমার রাত জাগা সঞ্চিত সব কালি!
অতি গোপনে সন্ধি করেছে তোমার কাজলের তুলির সাথে। মিশে আছে!
আমার মতো করে তোমাতে,তোমার চোখে।
তোমার কাজলে কালো ঐ দু আঁখির পাপড়ি
যখন ডানা মেলে।
তখন বিদ্যুৎ চমকায় সারা দুনিয়া জুড়ে।
নীল আকাশের ঐ নীল আবরণ
আজ সুন্দর ভাবে,অতি স্পষ্ট রূপে সঁপে দিয়ে সর্বস্ব
ধারণ করেছে নিজেকে তোমার নীল শাড়ির আঁচলে।
বুনো ঘাস যেমন মৃত্তিকা ছেদ করে মাথা উঁচু করে
সগৌরবে!
ঠিক তেমনি ভাবে শাড়ির আড়ালে থেকেও উঁকি দিচ্ছে তোমার বাইশ পেরোনো যৌবন!
আজ বড্ড ইচ্ছে করে রাখি নিবেদন,করি আবেদন!
মিশে যেতে চায় মন তোমার বনানী হৃদয়ে।
কে যেন তোমায় পিছু ডাকলো..
নাহ..! তোমার হৃদয় শুনেছে আমার নিবেদন।
তুমি পিছু ফিরতে..সমুদ্রের ঢেউ যেমন আছরে পরে
কূলে থাকা পাথরের বুকে!
ঠিক তেমন ভাবে তোমার দীঘল কালো কেশ
আছরে পরে বাম বাহুতে।
তোমার নাড়ানো হাতের চুড়ির শব্দ
আমার কাছে মনে হলো..
ক্ষিপ্ত কাল বৈশাখীর মেঘের গর্জন!
অপলক দৃষ্টিতে তুমি তাকিয়ে থাকো দূর পথের দিকে পথিকের আশায়! দেখবে কী করে.?
পথিক যে আড়ালে দাঁড়িয়ে নিমগ্নে দেখছে তোমাকে।
হঠাৎ ঝুম বৃষ্টি! মেঘের কান্না!
আচ্ছা একি তোমার না আমার হৃদয়ের বন্যা.?