এই ভয়ার্ত ধূলি মাখা কংক্রিটের শহরে
পাহাড়ের ঢালে!
সবুজে বেষ্টিত ঘন বনে!
পাতা ঝরা অথবা সবুজ বৃক্ষের আড়ালে!
টেকনাফ থেকে তেতুলিয়ার মোড়ে!
হিমালয় পর্বতে!
সুরঙ্গের প্রতিটি অলিতে গলিতে!
সমুদ্রের অতল গভীরে শৈবালের দ্বার প্রান্তে!
দীর্ঘ সতের হাজার পাঁচশত বিশ ঘন্টা-
অণু আমি শুধু খুঁজে বেড়িয়েছি তোমাকে!
শহরের উঁচু উঁচু দালান,ধূলি মাখা মলিন বৃক্ষ
ফুটপাতের অসহায়ের দল!
পান খেয়ে লাল হওয়া ঠোঁট!
আমার পাগলামি দেখে হেসে হয়রান!
যে চলে যায় সে কী আর ফিরে আসে.?
তবুও আমি হয়নি শ্রান্ত
প্রহর থেকে প্রহরে;
শহরের এ গলি থেকে ও গলিতে,
বিনিদ্র রজনীতে,নিদ্রাহীন রক্ত চোখ নিয়ে।
ক্ষুধার্ত হায়নাদের মত,
আমি শুধু খুঁজে বেড়িয়েছি তোমাকে!
এক বুক যন্ত্রনা আশা-আকাঙ্ক্ষা মেটাবার আশায়।
তবে কী তুমি
লাল,নীল,রঙীন,মরিচ-বাতির এ শহরের।
মাথা ছেদ করে দাঁড়ানো,
ঐ উঁচু উঁচু দালানের কোনও এক ফোঁকরে।
চড়ুইয়ের মত বাসর সাজিয়েছ,
নিয়ে সঙ্গী সাথী কে।
তুমি বাসর সাজাও থাকো অট্টালিকায়
আমি আজ ভীষন ক্লান্ত!
আমার ডানা আজ ঘুন পোকাদের দখলে!
আমার সকল ইচ্ছেরা আজ মরুভূমির ধূলি!
আমার সর্বশক্তি আজ নিস্তেজ মৃত লাশ প্রায়।
এক বুক দীর্ঘশ্বাস আর মরিচা জমা কিছু স্মৃতি নিয়ে
ভাঙা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে,
গাইবো বিরহী মূর্ছনা।
থাকবো স্বপ্নের কুঁড়ে ঘরটাই পরে নিভৃত যতনে
মনে রেখে তোমাকে..তোমার দেয়া স্মৃতি'কে।
হে কুটিল নারী
তবে তুমি জেনে রেখো!
আজ যে ঘর তুমি বানিয়েছ পুতুল ঘর।
আমি সেই ঘরেই রোজ খুঁজি, বিধাতা-ঈশ্বর!