হীরকের রাণী ও মন্ত্রীর গোপন কথোপকথন!

রাণী:-কী মন্ত্রী আছো কেমন.? কত দিন দেখা নাই।
মন্ত্রী:-(প্রবেশ করতে করতে)
       জয় হীরকের রাণীর জয়!হীরকের রাণী
       মহান। আজ্ঞে ভালো। হবে তিন চার দিন।
রাণী:-তা আমার রাজ্যের কী খবর,জনগণ কিছু
        কয়.?
মন্ত্রী:-কওনের মতন কিছু আছে নাকি। ঢুকিয়ে
       দিয়েছি গুম-খুনের ভয়।রাজ্য স্বাভাবিক।
       শুধুই আপনার জয়।
রাণী:- আহা! এই তো চাই।এবার বলো দেখি
        রাজ্যর আসল পরিস্থিতি কী.?
মন্ত্রী:-রাজ মাতা! রাজ্য জুড়ে আপনার সৈন্য-
       সেনাদের বিচরণ। চতুর্দিকে করছে তারা
       ধর্ষণ। প্রশাসন বেশ চতুর। করছে মোটামুটি
        সবই আড়াল। তাছাড়া আছে আমাদের
        প্রচলিত প্রথা!একটা ইসু ঢাকতে আরেকটা
        ইসুর জন্ম দেয়া। সবই আপনার দোয়া।
        পদ্মা সেতুর পিলার দেখে রেপিষ্ট কিলার
        খোঁজে না তারা।
রাণী:-বেশ!বেশ!বেশ! সবাই কে খুশি করো। নতুন
        উন্নয়ন হবে সুসংবাদ দেও।
মন্ত্রী:-রাণী আপনি বড়ই মহান। উন্নয়নের আড়ালে
       সবই খান। ধরিয়ে দেন শাদা বিড়াল।
       অন্ধকারে রয়ে যায় কালো বিড়াল!
রাণী:-তা এখন খুন খারাবি বন্ধ হয়েছে.?
মন্ত্রী:-এসব বন্ধ হলে কী আর রাজ্য চলে। সিংহাসন
       আপনার অধীনে থাকবে.?
       খুন নয় এখন  চলে বন্ধুক যুদ্ধ।জনগণ বুঝই
       না। আর বুঝলেও কিছু বলে না। রাজ্যে
       থাকবে রাণীর এইটুকু প্রহসন তো সহ্য করে
        নিতেই হবে।
রাণী:-ঠিক!ঠিক!ঠিক! তা রাজ্যের বিচার ব্যবস্থা
        কেমন.?
মন্ত্রী:-নুসরাত আর রিফাত হত্যার দুটি ফাঁসির রায়ে
         জনগণ খুশি। আপনি প্রধান বিচারক
        জনগণের আস্থার ঘর।
        সততার উদাহরণ,মানবতার 'মা'!
        যদিও দেন সাজা মাথা পেতে নেবে তারা।
রাণী:-দেখো আবার আন্দোলন-পান্দোলন হয়
        নাকি।ফ্যাসিবাদ মুক্ত করতে লাফালাফি
        করে কারা।
মন্ত্রী:-আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন মহারাণী। আপনার  
        নিয়ামক যখন খেয়েছি। যতই খারাপ
        পরিস্থিতি হোক ঠিক সামলে নেবো।
রাণী:-বাহ! তোমার মত আনুগত্য যদি সবাই হতো।
         বড়ই নিশ্চিত থাকতাম। আমি তোমার প্রতি
         খুশি এই নেও উপহার।
মন্ত্রী:-আজ্ঞে রাণী মা আপনি অতি মহান। যতই
        যাচ্ছে দিন,বেড়ে যাচ্ছে আপনার প্রতি আমার
        ঋণ।