এমনি একটি প্রহর চেয়ে ছিলাম আমি। শরতের স্নিগ্ধ বিকেল। নীল আকাশে মেঘের ছুটাছুটি। হাওয়ার মাঝে প্রজাপতির ওড়া উড়ি।
নীল শাড়ি পড়ে-
পাশে প্রেমিকা নামক একজন সঙ্গী। তাঁর হাত ভর্তি নানান রঙের চুড়ি। দেখে মনে রংধনু তার সাতটি রং নিয়ে পৃথিবীর মোহে জেগে উঠেছে। তাঁর কপালে থাকবে টিপ। যা দেখে একজন রোমান্টিক কবি উপমা দিবে,সোনালী সূর্যোদয় বলে।
মায়াবী দুটি চোখে থাকবে নজর কারা কাজল রেখা। দৃষ্টি ছোঁয়ালেই মনে হবে উত্তম মৃত্তিকার সবুজ স্নিগ্ধ,কোমল, নরম ঘাসের বন। কখনো বা মনে হবে নীল আকাশে স্বর্গের শিড়ি
গোধূলির অন্তিম পর্ব প্রস্তুতির আগ মুহূর্তে। ঠিক যখন প্রকৃতি সাঝে তার বিশেষ অলংকারে। আমি আর প্রিয় মানুষ'টি থাকবো সেই সবুজ,স্নিগ্ধ,কোমল কাঁচা ঘাসের উপর বসে। তারই সম্মুখে অজগরে মত এঁকে বেঁকে বয়ে যাবে নদী।
সঙ্গীর মায়ায় তখন পাখিদের নীড়ে ফেরার সময়। হঠাৎ হঠাৎ আমাদের মাথার উপর দিয়ে উড়ে যাবে দু চারটি ব্যস্ত পাখি। আমাদের নীড়ে ফেরার কোন অবকাশ নেই। আমরা যুগল অন্তিম যাত্রার সঙ্গী। একি আকাশের গন্তব্যহীন ঘুড়ি। হঠাৎ নিস্তব্ধতা ভেঙে গুণ গুণ করে ও গেয়ে উঠবে-
"সূর্য ডোবার পালা আসে যদি আসুক বেশ তো। গোধূলি রঙে হবে এ ধরণী স্বপ্নের দেশ তো"। বেশ তো-বেশ তো!বেশ তো"।
ওঁর সুমধুর কণ্ঠের মূর্ছনায়,নির্জনতা নিয়ে পৃথিবীতে আঁধারে ধুপ ছায়া নামবে। ধীরে ধীরে পূর্ণ চন্দ্রে জেগে উঠবে আরেক পৃথিবী। রজনী!
ভরা জ্যোৎস্নায় খোলা আকাশের নীচে মোরা যুগল একে অন্যের বুকে মাথা রেখে। তারা গুনবো। আমাদের ঘিরে ধরবে জোনাকি। কিছু ক্ষন পর আমরা গুলিয়ে যাবো। ভুলে যাবো কোনটা তারা কোনটা জোনাকি!
মলিন লাবণ্যময়ী স্নিগ্ধ জ্যোৎস্নার অগাধ মমতায়।
অতলান্ত এক শিহরণ বয়ে যাবে আমাদের মাঝে।
থাকবে না সংশয়,থাকবে না কোন দ্বিধা। আমরা জ্বলে উঠবো হয়ে আলোকবর্তিকা!
'সমস্ত রাত এই ডুবো নদীর পাড়ে, আমি তাঁকে জড়িয়ে থাকবো জলের অধিকারে'।
[এটি ঠিক কবিতা নয়। তাই পাঠক এবং শ্রদ্বীয় বিজ্ঞ
কবিদের কাছে ক্ষমাপ্রার্এী।]