আমি বিশ্বাস অবিশ্বাসের ভগ্নাবশেষে দাঁড়িয়ে তোমাদের দিকে চৌকশ দৃষ্টি রাখছি।
অবিশ্বাসে ঘেরা এই পৃথিবীর মাঝে আমার  বিচরণ তবুও বিদ্যমান রেখেছি।
আমি খুঁজে খুঁজে তোমাদের তাসের ঘরের রঙ্গ লীলা অবলীলায় উপভোগ করছি।
নাহ আজকাল একটুও মন্দ লাগে না
বারংবার দেখে আমি এখন-
অভ্যস্ত!

তবে আমার ভয় হয়! খুব ভয় হয়!
নিজের সাথে নিজের কথা বলতে ভয় হয়।
এমনি কী-
মনে মনে কিছু ভাবতে ও ভয় হয়।
চারিদিকে এতো এতো;
বিশ্বাস ঘাতক যে,মনের অজান্তেই যদি কেউ জেনে যায় তাহলে ঘটবে চরম সর্বনাশ।
এই ভেবেই আমার ভয় হয়।
তাই নিজের ছাঁয়া দেখে ও কখনো কখনো আমি আতঙ্কে আতকে উঠি।
আমার কী এই আতঙ্ক স্বাভাবিক নয়.?

মাঝে মাঝে আমার কান্না পায়! ভীষন কান্না পায়!
এ ভেবে যে,আশে পাশে কোন বিশ্বাসী লোক নাই।
আমার যে ইচ্ছে হয়! খুব ইচ্ছে হয়!
কারো সাথে নিরিবিলি বসে দুটো কথা বলি।
মনের কোণে লুকানো একান্ত গোপন বিষাদিত কিছু
কথা সেয়ার করি।
ইচ্ছে করে!একটা বিশ্বাসী কাঁধে মাথা রাখি।
একটা বিশ্বাসী স্পর্শে আবার জেগে উঠি।

যখন দৃষ্টি গোচরে এমন কাউকে খুঁজে না পাই। তখন নিজেকে ভীষন অসহায় লাগে।
এতো অসহায় হবো কখনো ভাবিনি।

প্রেমিকা-বন্ধু-বান্ধবী- সমাজ
এদের সকলের আছে চেনার মাঝে ও অচেনা রূপ।
এরা মুখোশের আড়ালে বিশ্বাস ভাঙ্গে অবিশ্বাসের ভয়ংকর হাসিতে।

যখনি বিশ্বাসের দৃষ্টিতে যে দিকে তাকিয়েছি।
যাকে আপন ভেবেছি।
পরক্ষনে ঘড়ির কাটা ঘুরতেই তার কলুষিত মনের বিকৃত রুচি দেখেছি।


[ কবিতাটি লেখা ৪ জানুয়ারী। কবিতাটি পোষ্ট করতে পারি নি কারন দূর্ভাগ্য এই যে,
আমি খুবই অসুস্থ ছিলাম।
দু দিন হলো সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাসায় এসেছি। সকলের দোয়া-আর্শীবাদ কামনা করছি]