এখানে জীবন পাতায় পাতায় টানা,
সেই শৈশব সেই সে প্রথম পাঠ,
ব্যস্ত লাঙলে ছড়ানো পিতার চোখ,
প্রাণান্ত সেঁচে ভেজানো স্বপ্ন মাঠ|
কাঁটা অদৃশ্য এ পথের কালো চুল,
ক্ষীণ পথিকের চরণ-রক্ত দেখে,
দুঃস্থ পকেটে কার্তিক মাখা কেউ,
শব্দে শব্দে তবুও কবিতা লেখে|
টিফিনের ঘরে চেয়ে চেয়ে থাকা শুধু,
সুকান্ত চাঁদ ভাসে কাগজের গায়,
হৃদয় আকাশে পোয়াতি মেঘের বুক,
মাটি ছোঁয় দ্রুত ঝুম শ্রাবনের পায়|
দিনান্তে ফের মায়ের আঁচল ছায়া,
চোখে মুখে তার নিরুপায় অপরাধ,
পরম আদর মাখিয়ে শুকনো গালে,
নিজের থালায় বাঁচানো প্রাণের সাধ|
যুগের বিলাসি চাহিদা জীবন্মৃত,
ভুলেও কখনো শরীরে বাধেনি ঘর,
আধবেলা পেট মলিন জামার খাপে,
পিছনে ফেলেছে সাধনার বালুচর|
"কৃষকের ছেলে মাস্টার হবে"বলে,
প্রতিবেশীদের কত শত টিটকিরি,
গত সময়ের অভিন্ন পথ ধরে,
স্বপ্নের পথে পেরুনো হাজার সিঁড়ি|
কূলেই যখন সকালের হাতছানি,
আশার করাতে কাটছে রাতের মেঘ,
হাতে নেই বলে রঙিন ছাপার নোট,
গোলাপের মুখে জমকালো উদ্বেগ|
পিতার স্বপ্ন মায়ের টাঙানো চাঁদ,
রাহুর প্রতাপে প্রত্যহ ভেঙে চূর,
কি লাভ এমন জীবনের ঘানি টেনে,
বিনিময়ে যার বাধ ভাঙে অশ্রুর?|
_______________________