বিরহী-মেঘের অবিরত চোখ
ভেজা সময়ের শেষে,
স্বর্ণ-শুভ্র ওড়না-চিত্র
অসীমে উঠেছে হেসে|
অতীতের মত কণ্ঠে প্রখর
দানবের চিত্কার,
নেই তার সে তো রূপালি-রমণী
সুরেলা চমত্কার!|
দেহে টানা তার নীল যৌবন
লুকানো সফেদ শাড়ি,
দেখে যেন মৃত আত্মাও এসে
কাব্যে জমাবে পাড়ি|
দিগন্তলীন অবয়ব জুড়ে
সুদুর অসীমে তার,
কী যেন শান্তি মায়ার পায়রা
ভেসে থাকে অনিবার|
তারে করে আরো ক্রম পরিণত
গাঢ় থেকে গাঢ়তর,
জামায় খচিত তুলোর পাহাড়ি
বরফের ফুলঘর|
মধ্য কপালে চকচকে ভাসে
দিনের হীরক-টিপ,
যার সমুদ্র-রূপের ছটায়
উজ্জ্বল পুরো দ্বীপ|
লক্ষ পিয়াসী প্রাণের কোটরে
সে তোলে প্রেমের ঢেউ,
রাতের বাসরে জোসনায় তার
চুমো দিতে চায় কেউ|
পায়ে এসে তার প্রভাতি-অশ্রু
নুপুরের সুর তোলে,
সোনালি আগুনে অগণ্য তারা
তারি মাঝখানে দোলে|
আগমন পথে শিউলি,কামিনী,
মাধবী,শাপলা ফুল,
খুলে রাখে পুরো যৌবন তার
ভরাতে খোপার চুল|
রাতের করোটি সাজায় নিজেকে
হরিণ-চামড়া দিয়ে,
জ্বলে উঠে যেন রঙিন আলো
অসংখ্য দেহ নিয়ে|
হয়তো বা কোন প্রেমিক কবি সে
তাকে দেখে এই গাঁয়,
মন্ত্রমুগ্ধ! শুকনো মগজে
আষাঢ়ের মেধা পায়|
দৃঢ় মনোযোগী 'চোখ' ঢেলে দেয়
ভাব-জমা মেঘ-টানে,
রাতের সীমানা পেরোয় আবেশী
কথা ও কবিতা গানে|