পরণে আমার রাত্রি টানানো
চালনী সিক্ত জামা,
অনাহারী মুখ মূর্খ মগজ
অনুন্নতায় নামা|

দু পায়ের ভরে বাবুদের বোঝা
মরু মাখা ঝড়ো চুল,
সূর্য-দগ্ধ কয়লার জলে
চিত্রিত দেহ মূল|

মুখের কোটরে মিষ্টি বিমুখ
ব্যকরণহীন গলা,
কখনো মেথর কখনো মজুর
কখনো বা ফেরীওলা|

যুগের সমতা বড় অসমান
শূণ্য পুঁজির ঘরে,
প্রতি নিঃশ্বাসে লোম হতে ফের
কাদা'র গন্ধ ঝরে|

জীবন মুখর ব্যস্ত শহরে
কখনোবা যদি হায়!
খেয়ালের ভুলে বাবুদের গায়ে
দেহখানি ছুঁয়ে যায়|

রক্তের চোখে হিংস্র আঙুল
তখন শুকনো গালে,
অসভ্য এর পেরেক বসিয়ে
প্রচুর শাষণ ঢালে।

ইতর,জংলী,বন্য ও কীটে
ভরে কণ্ঠের থালা,
আমাদের বলে ওদের সভ্য
সময়ের চোখে জ্বালা|

সত্যি কী ওরা সভ্য আমরা
অসভ্যদের দলে?
তবেতো চাইনা এমন সভ্য
হতে কোন কৌশলে|

ওদের পোশাকি সভ্য রূপের
মুখে মেরে যাই লাথি,
আমৃত্যু হয়ে থাকতে যে চাই
অসভ্যদের সাথী|

০৪-০৭-২০১৪