চোখের ভিতর সময় অনাগত,
স্বপ্ন-রঙে রাঙাই মনের মত|
বুকের পটে বসন্ত সুখ এঁকে,
সবুজ খামে পুরোটা দেই ঢেকে|
চৈত্রকে দেই অন্ধ ঘরের জ্বালা,
অর্গলে তার লাগাই সীসার তালা|
হীরক তারা ছিটাই আপন হাতে,
চাঁদ কে পেড়ে আনি কালো রাতে|
পাহাড় ঘিরে ঝর্ণা দেখার ছবি,
কাব্যে বাঁধি হয়ে ভাবের কবি|
মেঘ কে এনে ঝরাই মনের চালে,
শ্রাবন বৃত্তে রিমি ঝিমির তালে|
হাত বাড়িয়ে ছুঁই সে জলের দেহ,
শীতল করি ছোট্ট সুখের গেহ|
সৈকতে হই যুগল বন্দী খাড়া,
উদাস মনে দেখি জলের তাড়া|
বাতাস এনে মাখি সুখের চুলে,
বিস্মিত চোখ আঁটকে মাথার কূলে|
সন্ধ্যা হলে ঘর কে আবার টানি,
দেহের ভিতর রাতের চাদর আনি|
ব্যালকনিতে জমাই কথার মেলা,
হেসে হেসে গভীর করি বেলা|
অবশেষে চোখ ঘষে নিই ঘুমে,
স্বপ্নেতে ফের ঘুরি স্বপ্ন ভূমে|
এমনি করেই নিত্য সাজাই চোখ,
অনাগতের বক্ষে অপলোক|
কবে আমার স্বপ্ন হবে খাড়া?
একাকীত্ব হবে গণ্ডি ছাড়া|
পূর্ণ হবো আমি সুখের জলে,
অনাগতের বরফ স্বপ্ন গলে|