কে পথিক হাঁটছো তুমি নিশ্চলতায়
সময় ভুলে,
কোথা সেই যাত্রা তোমার কোন্ যমুনার
প্রান্ত কূলে?|

মাঝে কোন্ বরফ ছায়ায় বুক এলিয়ে
পড়ে থাকো,
সভ্যতার দেয়াল টেনে মরিচীকায়
শরীর ঢাকো|

সজনীর গর্ভ-পটে উষ্ণ ভ্রুণে
ছবি এঁকে,
টেনে যাও পথের ইতি প্রজাপতির
চমক মেখে|

শুনে সুর চ্যাপ্টা বাঁশীর বিভোল তুমি
আত্মহারা,
ভেবেছো এটাইতো শেষ এরপরে নেই
পথের পারা?

দু হাতের মুঠোয় ভরে গিলছো দ্রুত
সাদা কালো,
ক্রমেই পথ দীর্ঘ পথে দিচ্ছ ঠেলে
বাহঃ কী ভালো!

পোড়া ইট মই টাঙিয়ে সুদুর আকাশ
আনছো পেড়ে,
দ্বিতীয়ের সিঁদুর করা পানির প্রাপ্ত
সুফল কেড়ে|

পকেটে তুলছো চক্রবৃদ্ধিহারে
পাপের দানা,
এভাবেই টানছো ঘানি অন্ধকারে
পথের কানা|

এখনো মৃত্যু গোপন পথ-ঝুলি তাই
পূর্ণ করো,
বেলা শেষ হতে হতেই আসল পথে
চরণ ধরো|