জমাট রাতের ফুটো দিয়ে রোজ
সকাল চুইয়ে নামে,
পূর্বাচলের শুকনো হাওড়ে
আবছা আলোর খামে|
মৃত্যু তাড়িয়ে খিল খুলে জাগে
দরজা বন্ধ চোখ,
চেতন ঠাসায় মুখ ঘষে পায়
বেহুঁশ রাতের রোখ্|
পবিত্র গাঢ় পাতার নাচনে
বুক ভরে যায় মুখে,
নতুন স্বপ্নে জেঁকে বসে চোখ
আবার বাঁচার সুখে|
পাখির রাজ্য মালিক রাজের
স্তুতিতে ভরায় ঠোট,
বন্ধ কানের দরজায় এসে
লাগে সে মধুর চোট|
বাতাসের পিঠ্ বয়ে নিয়ে আসে
আলো পথিকের ডাক,
সাড়া দিয়ে তাতে পানি মোছে গায়
প্রেমপ্রিয় একঝাঁক|
লুটায় শরীর সেজদা'র মাঠে
ভক্তি প্রখর মনে,
চোখ নিঃসৃত জলে ভিজে বুক
অনুতাপী গুন্জনে|
ব্যস্ততা তার বাড়ায় সীমানা
ক্রমে ক্রমে পাড়াময়,
তবুও 'কিছুর' ফুরায় না রাত
মৃত্যুকে চুমে রয়|
শ্রবনের সাঁকো পাপের মাটিতে
কবর তাদের আজ ,
কান ফাটা মুখও নিঃশব্দের
রঙে করে চলে সাজ|
চেয়ে দেখ্ মৃত হে আত্মাবাহী
একটু কপাট খুলে,
কি কারণ প্রভু রেখেছেন তোর
এখানে আসার মূলে?
সেই সব যদি সময় বৃত্তে
চোখ বুজে ভুলে যাস,
পরকালে তোকে ছুঁয়ে যাবে তবে
অসীম সর্বনাশ|
তাই খুলে ফেল্ ঘুমের শার্শি
মুয়াজ্জিনের সুরে,
দুই কাল-ই-তোর চমকাবে তবে
পবিত্র সুখ-নুরে|