লোহার দাঁতে সবুজ পায়ে
মানুষ লাগায় মুখ,
কাঠের পিণ্ডে গোগ্রাসে সে
তাড়ায় পেটের ভূখ|
যম দু হাতে মাটি ছোঁয়ায়
শক্ত খাড়া প্রাণ,
পকেট গর্ভ প্রাপ্তি সুখে
উত্তেজনায় টান|
সভ্যতাতে কাল ভিজাতে
ঘরকে সাজায় রোজ,
তুলোর নিচে লাশের খণ্ডে
অপূর্ব সাজগোজ|
তার উপরে নিত্য চলে
খুনির উঠা বসা,
নিচে কাঁদে জড় আত্মা
নির্বাকে মুখ ঘষা|
আয়না টেনে ওদের ফ্রেমে
দস্যু আঁকে মুখ,
কেউ দেখে না ভেতর জ্বালা
মৃত্যু মুখর দুখ|
বিলাসিতার চরম প্রকাশ
সয় অভাগার দল,
মাটির গোলক সাম্য খোয়ায়
নেশায় টলোমল|
সভ্য শুয়োর অন্ধকারে
লুট করে যায় বন,
সল্পতা খায় নিশ্বাসেরা
লুফতে নির্বাসন|
পায়ের তলায় ছিন্ন ভিন্ন
সতেজ কঁচি কাঁচা,
ওদের ভাগ্যে হয় নাতো আর
যুবক হয়ে বাঁচা|
ছায়ার মাটি হলদে করে
খাঁ খাঁ রোদের তাপ,
মিশতে বসে অকালে এই
বিশ্ব আয়ুর ছাপ|
হে খুনি তোর শিশু দেখেও
হয় না কি সেই ভয়?
দোযখে সে পারবে কি তার
করতে জীবন ক্রয়|
তোর খাড়ানো শ্মশান ঘাটে
চলবে কি তার শ্বাস?
গজবে কি কাঁক-শরীর জুড়ে
সবুজ রঙের ঘাস?
ছেড়ে দে তাই ছায়ার হত্যা
পাতায় ঠাসা ধড়,
তোর শিশুটির জন্যে একটা
সবুজ স্বর্গ গড়|