আর কিছু স্মৃতি আছে যোগ্যতাহীন
নামহীন পরিচয়ে গোত্র কুলীন,
জারুলের বনে ঝরা মিষ্টি বকুল
ফণীমনসার ঝোপে নীলকন্ঠ ফুল।।
লাল কাঁকড়ের পথে কুলে ভরা ডাল
হাঁসি মাখা মাথা নেড়ে ঢেলে দিত ফল,
শান বাঁধা পুকুরের পাড়ে বুড়ো বট
জটা ধরে দোল খেত কচিদের হাট।।
বাড়া বাড়ি হলে হত কচার শাসন
নিম গাছ পেড়ে দিত কাঠির দাঁতন।
জিওলের বেড়া ঘেরা নিকনো উঠোন
তুলসীর বেদীতলে সুখী গৃহকোন।।
চাল কুমড়োর ঢেউ বিচুলীর চালে
মাচা ঘিরে দোল খেত লাউ তার ডালে,
গুন গুন অভিমান কাঠালের কাঁধে
কাদি ছাড়া কলা বউ ফেলে যেত ফাঁদে।।
ঝড় শেষে ডেকে যেত জ্যাঠা আম গাছ
লুকানো ঘাসের ফাঁকে সোনালী আভাস,
উল্লাসে নেচে যেত চাঁদ ছোওয়া বাঁশ
ঠীলে ভরে ঝরে পড়া খেজুরের রস।।
হাক নেই ডাক নেই, নেই কলরব
চাইনিকো এতটুকু দানের গৌরব,
চুপিচুপি দিয়ে যায় ভালোবাসা যত
ঠিক যেন যোগী তারা কর্মযোগে রত,
পরিশেষে দেহটুকু করে যায় দান,
নামহীন পায় নাতো স্মৃতিতেও স্থান।।