ঠিক যেন এক ঘুমের আগের মায়ায় আঁকা ছবি
হাতছানি দেয় আয় না লো সই দুটো কথা কবি।
সন্ধ্যে বেলায় প্রদীপ জ্বালায়ে তুলসী তলায় বসি
অচিন দেশের পসরা সাজায় ফোকলা দাঁতের হাঁসি।।
সেথা গাছে গাছে হরেক মজার খাবার রাশি রাশি
দেয় যে ধরা ডাল নুইয়ে আপনি কাছে আসি।।
হেথা ব্যাঙ্গমা আর ব্যাঙ্গমীতে গান শুনিয়ে যায়
গাছের তলায় ক্লান্ত পথিক নতুন দিশা পায় ।।
বিলের জলে গভীর তলে গোপন সে এক ঘাটে
লুকিয়ে থাকা রাজকুমারীর বিষাদে দিন কাটে।
অশ্রু ঝরা মুক্ত মালা খবর নিয়ে আসে
হাওয়ায় ওড়া ঝরা পাতা করুন সূরে ভাসে।।
গা ছমছম রাত্রি যখন দৈত্যপুরীর ছাঁদে,
নক্সা আঁটা কৌটো সাঁটা প্রাণ ভোমরা কাঁদে।
নজর কাড়া জলের ঘোড়া, মুখে মধুর হাঁসি
রাজপুত্রের পথ বলে দেয় রাখাল রাজার বাঁশি।।
ঝুলির ভিতর থাকত পোরা এমনি কত কথা
যায় দুলিয়ে মন ভুলিয়ে কান্না হাঁসি ব্যথা।
গোমড়া মুখো ঝগড়া গুলো বাঘ বন্দীর চালে
যেত ভেসে খুশীর স্রোতে সাত সাগরের কোলে।।