ভীষণ মিষ্টি একটা মেয়ে আমি
মনের পরশে সংসার ঘর বাঁধি
ভালোবেসে রাজকুমার নিয়ে গেলো
সামলাতে পাগল , হলাম না রানী।
ঘর সাম্‌লাই রান্না করি,
পাগল নিয়ে মারা মারি, খাই কামড়,
মিষ্টি মুখটা ফ্যাকাসে আমার, কি করি ?
অগোছালো লম্বা চুলের বেণী  
ক্লান্ত বড়োই শুধু রাজকুমারকে খুঁজি।
তাকায় না সে আমার মুখের দিকে
ঘর সাম্‌লাই রান্না করি বাসন মাজি
একদিন জানি রাজকুমার আমার নয়
সে যেন বেঁধেছে কোথাও অন্য ঘর
আছে তার আরেক সংসার আর এক রানী
দুঃখে কাঁদি চিৎকার করি, মরি মরি
আমি একটা মেয়ে ভীষণ মিষ্টি
কি আছে দাম ? তাকায় না রাজকুমার
থাকলো না সে আমার হয়ে
এই মিষ্টতা নিয়ে এখন কি করি ?
সতন্ত্র হতে বেরিয়ে পড়ি, জগৎ দেখি।
সাজি গুজি আনন্দ রসে মজা করি।
রাজকুমার আর পাই নি খুঁজে ,
এক সৈনিকের হাত টা ধরি।
সে হয় বেজায় খুশি সব সময় বলতে থাকে !
ভালোবাসি, ভালোবাসি, ভালোবাসি,
ভালোবাসায় খুলে দিলো আমার চুলের বেণী
সাজিয়ে দিলো নিজ হাতে নিজ প্রেমে,
এটা  সেটা কত দামি, কত আঁকি-বুকি।
দিন গুলো কাটছে অনেক ভালো
ঘুরি ফিরি আমি বড্ড সতন্ত্র।
সৈনিক যে আছে সাথে, রক্ষা করে।
কিন্তু একদিন সব হারিয়ে গেলো
শুরু হলো এক যুদ্ধ, সৈনিক মারা গেলো।
রাজকুমার ও নেই সৈনিক ও নেই
আজ  যে আমি আসলেই ভীষণ সতন্ত্র।
আমি যে এক রাজ রানী